বঙ্গবন্ধুর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সময়কাল
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন আজ। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে মুজিববর্ষ। বঙ্গবন্ধুর জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এখানে তুলে ধরা হলো-
১৭ মার্চ ১৯২০ – তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত গোপালগঞ্জ উপজেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৪৩ – সর্ব-ভারতীয় মুসলিম লীগের হয়ে কাউন্সিলর নির্বাচনে বিজয় লাভ।
১৯৪৬ – 'কলকাতা হত্যাকাণ্ড' চলাকালীন দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন।
৪ জানুয়ারি ১৯৪৮ – বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ইস্ট পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা।
১১ মার্চ ১৯৪৮ - বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা দাবি করে চলমান আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার।
২৩ জুন ১৯৪৯ – সদ্য গঠিত পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ – বাংলা ভাষার রাষ্ট্রমর্যাদার দাবিতে জেলে অনশন ধর্মঘট।
১০ মার্চ ১৯৫৪ – পাকিস্তানের প্রথম পার্লামেন্ট নির্বাচনে এমপি হিসেবে নির্বাচিত। এরপর নতুন প্রাদেশিক সরকারের কৃষি ও বনমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ।
১৯৫৫ – দলের নাম পরিবর্তনের পর নতুন আওয়ামী লীগের মহাসচিব পদে নির্বাচিত।
১১ অক্টোবর ১৯৫৮ – আইয়ুব খানের সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখলের পর শেখ মুজিবুর রহমানকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়।
৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ – লাহোরে বিরোধী দলগুলোর সমাবেশে বাঙালি জাতির অস্তিত্বের সনদ হিসেবে পরিচিত ঐতিহাসিক 'ছয় দফা' ঘোষণা।
১৮ মার্চ ১৯৬৬ – আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে নির্বাচিত।
১৯৬৮ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ – রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার এবং 'আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা'য় বিচার শুরু।
২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ – গণঅভ্যুত্থান চলাকালে এক বিশাল জনসমাবেশে তাকে 'বঙ্গবন্ধু' উপাধি দেন তৎকালীন ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ।
৭ ডিসেম্বর ১৯৭০ – সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়।
৭ মার্চ ১৯৭১ – স্বাধীনতার জন্য বাঙালির আকাঙ্ক্ষা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে দিল বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো এই ভাষণকে এখন 'বিশ্ব ইতিহাসের প্রামাণ্য স্মৃতির গুরুত্বপূর্ণ দলিল' হিসেবে মর্যাদা দিয়েছে।
২৬ মার্চ ১৯৭১ – ২৫ মার্চের কালো রাতে চালানো গণহত্যার পর পাকিস্তানি কমান্ডোদের হাতে গ্রেপ্তারের আগেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
৮ জানুয়ারি ১৯৭২ – পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ।
১০ জানুয়ারি ১৯৭২ – স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে সর্বশক্তি নিয়োগ করেন।
১৯৭৩ – বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখায় বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার লাভ।
২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ – প্রথম বাঙালি হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে বাংলায় বক্তৃতা।
১৫ আগস্ট ১৯৭৫ – স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকদের হাতে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নিহত হন। শুধু তার দুই কন্যা- বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা সে সময় দেশে না থাকায় এই হত্যাকাণ্ড থেকে বেঁচে যান।