রপ্তানি আয় প্রত্যাবাসন সময়সীমা বাড়ানোর দাবি বিজিএমইএ’র
রপ্তানির অর্থ দেশে আনার সর্বোচ্চ সময়সীমা আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। রোববার (১৯ জুন) বিকেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি করেছেন সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান।
বিদ্যমান নিয়মে, রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরণের পর ১২০ দিনের মধ্যে অর্থ দেশে আনতে হয়। কারও অর্থ না এলে তিনি নগদ সহায়তা ও ব্যাংকিং সুবিধা পান না। তবে কোভিডের কারণে তা আরও বাড়িয়ে ২১০ দিন করা হয়। সংগঠনটি কোভিডকালীন সেই সুবিধার ফের দাবি করেছে।
বৈঠকে সূত্রে জানান যায়, বিজিএমইএ নেতারা বলেন, দেশে কোভিডের প্রভাব কমে গেলেও বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে তাদের অতিরিক্ত দামে কাঁচামাল আনতে হচ্ছে। এছাড়া, পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে জাহাজীকরণেও দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত মূল্য। তাই আবারও তারা আগের সুবিধাগুলো দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, "বিজিএমইএ এফবিসিসিআই'র মতো ঋণ শ্রেণিকরণ সুবিধা আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত চেয়েছে এবং রপ্তানির অর্থ দেশে আনার সময়সীমা বাড়ানের দাবি করেছে। গভর্নর সার্বিক দিক বিবেচনা করে সমন্বয় করবেন।"
এর আগে, এফবিসিসিআই'র দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার ব্যাংক এমডিদের নিয়ে ব্যাংকার্স সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর। এছাড়া একাধিক ডেপুটি গভর্নররাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, একাধিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা বলেন, দীর্ঘ দুই বছর ধরে ঋণ পরিশোধের বিশেষ সুবিধা পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যারা মহামারি দ্বারা প্রভাবিত হয়নি তারাও এ সুবিধা নিয়েছেন।
সে সময় অনেক ভালো প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোধের সুযোগ থাকলেও তারা তা করেনি। এখন ব্যবসা পুরোপুরি চালু আছে তাই নতুন করে সুবিধা দিলে ব্যাংকগুলো লোকসানের মুখে পড়বে বলে উল্লেখ করেন তারা।
তবে ঋণ পরিশোধের সুবিধা নতুন করে বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন অন্য কয়েকটি ব্যাংকের এমডিরা। তারা বলেন, কোভিড-১৯ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। তাছাড়া, ইউক্রেন-রাশিয়া দ্বন্দ্বের কারণে সব ধরনের পণ্য ও রপ্তানির খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। সুতরাং, যুক্তিসঙ্গত পরিমাণ ডাউন পেমেন্টের সাপেক্ষে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেওয়া উচিত।