বিদেশ ফেরতদের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলকে রিট
বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে যে কোনো ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট বন্দর থেকেই সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলকভাবে রাখার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
একইসঙ্গে করোনার প্রভাব থেকে বাঁচতে সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সকল আদালতে ছুটি ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
এছাড়া কোয়ারেন্টিন ঠিকমতো পরিচালিত হচ্ছে কি না তা মনিটরিং করার জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে পরবর্তী অবকাশকালীন ছুটি স্থানান্তর করে এখনই সেই ছুটি কার্যকর চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে।
আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বিমান ও পর্যটন সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্টদের এতে বিবাদী করা হয়েছে।
বুধবার ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দাখিল করেন।
তিনি বলেন, বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে এর আগে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠান এই আইনজীবী। নোটিশে সাড়া না দেওয়ায় রিট করেন।
তিনি বলেন, করোনার প্রভাব থেকে বাঁচতে ইতোমধ্যে ভারতের সুপ্রিম কোর্টসহ নিন্ম আদালতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও আরও অনেক দেশেই আদালতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এর মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে ফিরছে প্রবাসীরা। তাদেরকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দিলেও অনেকে তা মানছে না বলে এ রিট করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
আদালত বন্ধে সিদ্ধান্ত পরামর্শ করে
করোনা প্রতিরোধে আদালত বন্ধের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সকল বিচারপতিকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এজন্য শিগগিরই বিচারপতিদের সঙ্গে বসবেন বলে জানান তিনি।
'মুজিব বর্ষ' উপলক্ষে বুধবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একদিকে যেমন করোনার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে, অন্যদিকে বিচারপ্রার্থীরাও যেন ভোগান্তিতে না পড়ে, তাও খেয়াল রাখতে হবে। এসময় হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।