বড় লিড নিয়ে থামলো ক্যারিবীয়রা, ইনিংস হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ
প্রথম ইনিংসে অল্পতেই অলআউট হওয়ার প্রভাব বুঝতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর আগেই ইনিংস হারের শঙ্কায় পড়ে যেতে হয় বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে সেই শঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। প্রথম ইনিংসেই ১৭৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশ এবারও ভালো শুরু করতে পারেনি। আসা-যাওয়ার মিছিলে বিপদ বাড়ছে তাদের।
৪ রানের মধ্যেই অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবালকে হারানো বাংলাদেশ আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কেও কিছুক্ষণ পর হারায়। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগ মুহূর্তে বিদায় নেন এনামুল হক বিজয়ও। কেমার রোচের বোলিং তোপে ৮.৫ ওভারে ৩২ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ। ১০ রানে অপরাজিত আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ইনিংস হারের হাত থেকে বাঁচতে সফরকারীদের আরও ১৪৩ রান করতে হবে।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই তামিমকে ফিরিয়ে দেন রোচ। ক্যারিবীয় পেসারের বেশ বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন তামিম। বাংলাদেশ ওপেনারকে ফেরানোর মধ্য দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ষষ্ঠ বোলার হিসেবে টেস্টে ২৫০ উইকেট পূর্ণ হয়েছে রোচের, ছাড়িয়ে গেছেন কিংবদন্তি মাইকেল হোল্ডিংকে।
প্রথম ইনিংসে ১০ রান করা জয়কে তুলনামূলক সাবলীল মনে হচ্ছিল এই ইনিংসে। কিন্তু তার পথচলাও দীর্ঘ হতে দেননি রোচ। ১৩ রান করা তরুণ ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন তিনি। কিছুক্ষণ পর বিজয়কেও পথ ভুলিয়ে দেন রোচ। দারুণ এক ডেলিভারিতে তাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। ৮ বছর পর টেস্ট খেলতে নামা বিজয় আগের ইনিংসে ২৩ রান করেন, এই ইনিংসে করেন ৪ রান। তার বিদায়ের পরই বৃষ্টি শুরু হয়। উইকেট কভার দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।
সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কাইল মেয়ার্সের অসাধারণ ১৪৬ রানের সুবাদে ৪০৮ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করে ২৩৪ রান। ৪০০'র বেশি সংগ্রহ গড়ে এই ইনিংসেই ১৭৪ রানে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। মেয়ার্সের আগে ক্যারিবীয়দের হয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েট, ৫১ রান করেন তিনি।
এ ছাড়া জন ক্যাম্পবেল ৪৫, রেমন রেইফার ২২, জার্মেইন ব্ল্যাকউড ৪০, জশুয়া ডা সিলভা ২৯ ও কেমার রোচ ১৮ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫টি উইকেট নেন ডানহাতি পেসার খালেদ আহমেদ, যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা। বাংলাদেশের ষষ্ঠ বোলার হিসেবে বিদেশের মাটিতে ৫ উইকেট নিলেন খালেদ। ৩টি উইকেট নেন ডানহাতি অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। তরুণ বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের শিকার ২ উইকেট।