ঘূর্ণিঝড়ের মতো নাম দেওয়া হবে তাপপ্রবাহেরও!
হারিকেন এবং ঘূর্ণিঝড়ের মতো এখন থেকে তাপপ্রবাহের (হিটওয়েভ) নামকরণ করা হবে।
তাপপ্রবাহের নামকরণের কারণ মূলত তাদের গুরুত্ব তুলে ধরা। এই নামকরণের ফলে জনগণ এবং সরকারি কর্মকর্তারাও এতে সতর্ক হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সেভিলের মতো অন্য আরস্পেনের সেভিল শহরই প্রথমবারের মতো নাম দেওয়া হবে তীব্র তাপপ্রবাহের।ও পাঁচটি শহর একই ভাবে তাপপ্রবাহের নামকরণ করবে। লস অ্যাঞ্জেলেস, মায়ামি, মিলওয়াকি, ক্যানসাস সিটি, মিসৌরি এবং এথেন্সও এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছে।
আবহাওয়ার তথ্য এবং জনস্বাস্থ্যের মানদণ্ড ব্যবহার করে তাপপ্রবাহকে শ্রেণিবদ্ধ করা হবে। এই শহরগুলো একটি ৩ স্তরের ব্যবস্থা ব্যবহার করবে।
তাপপ্রবাহের নাম দেওয়া হবে প্রতিটি শহরের নির্দিষ্ট জলবায়ুর সঙ্গে সবচেয়ে উপযুক্ত কোনো শব্দের উপর ভিত্তি করে।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুসারে, জলবায়ু নিয়ে কাজ করা আর্শট-রকের প্রধান তাপবিজ্ঞান উপদেষ্টা ল্যারি কালকস্টেইন বলেন, প্রতিটি অংশগ্রহণকারী শহরের 'একটি ভিন্ন সূত্রের সেট' রয়েছে যা শহুরে গঠনের উপর ভিত্তি করে তৈরি।
আর্শট-রক এর আগে থেকেই ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) এবং বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থাকে তাপ তরঙ্গের নামকরণ এবং র্যাঙ্কিংয়ের একটি মানদণ্ড তৈরি করার জন্য চাপ দিয়ে আসছে।
চলতি বছরের মার্চ এবং এপ্রিলে ভারতজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ অনুভূত হয়। প্রথম দিকে এবং অপ্রত্যাশিত তাপপ্রবাহের সাক্ষী ছিল। মার্চ ছিল ১২২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ মাস এবং এপ্রিল ছিল চতুর্থ উষ্ণতম।
উত্তর ও মধ্য ভারতের বড় অংশে প্রতিবছরই মে মাসে তাপপ্রবাহ লক্ষ্য করা গেলেও ভারতের তাপপ্রবাহের আলাদা করে নামকরণ হবে না এখনই।
এবছর দিল্লি এবং জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানা, দিল্লি, চণ্ডীগড়, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং তেলাঙ্গানাসহ আরো কয়েকটি রাজ্যে এ বছর অস্বাভাবিক বেড়েছে তাপপ্রবাহের মাত্রা।