এপ্রিলে মার্কিন সরকারের বাজেট ঘাটতি ৭৪ হাজার কোটি ডলার
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার গত এপ্রিলে ৭৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলার বাজেট ঘাটতির শিকার হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির সরকার এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ফেডারেল সরকার পহেলা অক্টোবর থেকে পরবর্তী বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ তারিখ পর্যন্ত অর্থবছর গণনা করে থাকে। সেই হিসাবে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষ হয় এপ্রিলে।
এপ্রিলে সরকারি খরচের আওতা বৃদ্ধি এবং সেই তুলনায় রাজস্ব আদায় বহুলাংশে কমে যাওয়ার কারণেই বাজেট ঘাটতির মাত্রা বিপদজনকভাবে বাড়ে।
মার্কিন অর্থমন্ত্রণালয় জানায়, করোনাভাইরাস সৃষ্ট অর্থনৈতিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সরকার যে বিপুল পরিমাণ অর্থবরাদ্দ দিয়েছে- তার বিশালত্ব এই প্রথম সবার সামনে তুলে ধরেছে এপ্রিল মাসের ঘাটতির চিত্র। খবর রয়টার্সের।
এরআগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই বাজেট ঘাটতির সাম্প্রতিক রেকর্ড হয়। ওই মাসে ঘাটতির পরিমাণ ছিল সাড়ে ২৩ হাজার কোটি ডলার।
অতি-সাম্প্রতিক সময়ের কথা বাদ দিলে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ অঙ্গরাজ্য দীর্ঘদিন ধরে কড়া লকডাউনের মধ্যে দিয়ে গেছে। এখন ট্রাম্প প্রশাসনের তাগিদে রিপাবলিকান দল শাসিত অঙ্গরাজ্যগুলো লকডাউন বিধিমালা অনেকটাই শিথিল করেছে।
করোনাভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রে ৮০ হাজারের বেশি নাগরিকের জীবন কেড়ে নেওয়ার পরেও ট্রাম্প প্রশাসন অর্থনীতিকে উন্মুক্ত করার ওপরই বেশি জোর দিচ্ছে।
মাসিক বাজেটে ঘাটতি নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, '(ঘাটতির) এই অঙ্ক আসলেই অবিশ্বাস্য। এমনটা দেখতে হবে তা আমি কখনো ভাবতেও পারিনি।'
এদিকে এপ্রিল নাগাদ মার্কিন সরকারের মোট বাজেট ঘাটতি দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪৮ হাজার কোটি ডলারে। ২০১৯ সালের এপ্রিলে যার পরিমাণ ছিল ৫৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার। এর আগে এপ্রিল নাগাদ সবচেয়ে বড় ঘাটতির রেকর্ড হয়েছিল ২০১১ সালে, যার পরিমাণ ছিল ৮৭ হাজার কোটি ডলার। বলাইবাহুল্য, চলতি বছরের এপ্রিলে ঘাটতি এর প্রায় দ্বিগুণ বেশি।