সুপার পাম তেলকে বেশি দামে সয়াবিন তেল হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে
খুচরা বাজারে সুপার পাম তেলকে সয়াবিন তেল হিসেবে বিক্রি করলেও খোলা তেলের সরবরাহকারীকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। একই সঙ্গে এভাবে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে প্রতি লিটার তেলে ১৫-২০ টাকা বেশি দামে বিক্রির প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
সোমবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খোলা সয়াবিন তেল বিপণন ও বিক্রয় বন্ধের বিষয়ে সচেতনতানূলক সভার আয়োজন করে। এ সময় সিটি, মেঘনা, টিকে, বাংলাদেশ এডিবল ওয়েল, এফবিসিসিআই (ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি) সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। গত ১ আগস্ট থেকে খোলা সয়াবিন তেল বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছে ভোক্তা অধিদপ্তর।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের ক্ষেত্রে খোলা তেল বাদ দিয়ে প্যাকেটজাত তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছুটা মূল্যবৃদ্ধি পেলেও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বিবেচনায় খোলা সয়াবিন তেল পরিহার করা উচিত। খরচ কমিয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের ছোট পেট বোতল, পাউচ প্যাক ও মিনি প্যাক প্রস্তুত করা যেতে পারে।
তবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা অনুযায়ী বাজারে প্যাকেটজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ করার সামর্থ নেই বলে জানান।
এ সময় অবশ্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) সয়াবিন তেলে ভিটামিন-এ মেশানোর প্রবণতার উপর একটি উপস্থাপনা প্রদান করেন। এতে বলা হয়- বিএসটিআইয়ের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী নমুনা ভোজ্য তেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-এ এর উপস্থিতি যাচাইয়ের লক্ষ্যে জুলাই, ২০২২ থেকে জুন, ২০২৩ পর্যন্ত ৯৭০টি নমুনা তেল পরীক্ষা করা হয়। এতে খোলা ড্রামের তেলের ৫২% নমুনায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-এ এর উপস্থিতি পাওয়া যায় নি।
জানা যায়, ভোজ্যতেলে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধকরণ আইন, ২০১৩ কার্যকর হওয়ার পর থেকে এতে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ করার বিষয় ছিল। কিন্তু ১০ বছরেও এটা বাস্তবায়ন হয়ানি।
আলোচনায় এস আলম গ্রুপের প্রতিনিধি বলেন, "আমাদের চাহিদা অনুযায়ী প্যাকিং করার সক্ষমতা নেই তাই শতভাগ প্যাকিংয়ে যাওয়া কঠিন।"
সভায় মেঘনা গ্রুপের প্রতিনিধি জানান, "খোলা ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণ বন্ধের বিষয়ে আমরা একমত কিন্তু আমাদের সক্ষমতা বিবেচনা করে তা শতভাগ বাস্তবায়নে সময় দিতে হবে। একই কথা জানান সিটি গ্রুপের প্রতিনিধি। তবে বাংলাদেশ এডিবল ওয়েল কোনো খোলা তেল বাজারজাত করে না বলে জানায়।