মুঠোফোনের টকটাইম, রেস্তোরাঁ বিল, ওষুধসহ ৮ খাতে কমল ভ্যাট
ভ্যাট ও সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি বাড়ানোর ১৩ দিনের মাথায় ওষুধ, টকটাইম, ইন্টারনেট ও রেস্তোরাঁসহ আট খাতের ভ্যাট কমানো হয়েছে। এর মধ্যে আলোচ্য চারটি খাত ছাড়াও নন-ব্র্যান্ডে পোশাকের বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটা জানিয়েছে।
এছাড়া, নন এসি হোটেল, মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, ও নিজস্ব ব্রান্ডের তৈরি পোষাক বিপণনের ক্ষেত্রে বর্ধিত ভ্যাট পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়নি। ১৫ শতাংশ থেকে থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এর আগে এসব খাতে ভ্যাট ছিল সাড়ে ৭ শতাংশ। অর্থাৎ এসব পণ্যে ভ্যাট আড়াই শতাংশ বেড়েছে।
এনবিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "ওষুধের ওপর অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করায় ওষুধ শিল্পের ধারাবাহিক বিকাশ বজায় থাকবে এবং সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি পাবে না। এছাড়া মোবাইল ফোন এবং আইএসপি সেবার উপর বর্ধিত বা নতুন আরোপিত সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।"
প্রায় ১০০ পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বাড়ানোর পর দেশব্যাপী সমালোচনা ও কিছু খাতের ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু পণ্য ও সেবার ভ্যাট কমালো সরকার। অবশ্য এর বাইরেও অনেক পণ্য ও সেবায় বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক রয়ে গেছে।
মোবাইল টকটাইম
মুঠোফোনের সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে টেলিফোন সেবায় (টক টাইম, ইন্টারনেট ব্যবহার ইত্যাদি) সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করা হয়েছিল, যা এখন আগের হারে ফেরত আনা হয়েছে। ইন্টারনেট সংস্থার (আইএসপি) সেবার ওপর আরোপিত ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্কও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রেস্তোরাঁ বিল
রেস্তোরাঁর খাবারের বিলের ওপর পূর্বের ৫ শতাংশ হারেই ভ্যাট আরোপ হবে। নতুন অধ্যাদেশে এটি বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছিল, সেখান থেকে সরে এসে আগের হারেই ভ্যাট কার্যকর করা হবে। অর্থাৎ, প্রত্যাহার করা হয়েছে ভ্যাটের বাড়তি হার।
পোশাক, ওষুধ ও অন্যান্য খাত
নিজস্ব ব্র্যান্ডের পোশাক ব্যতীত অন্যান্য পোশাক বিক্রির ক্ষেত্রে ভ্যাট হার-ও আগের মতো সাড়ে ৭ শতাংশ রাখা হয়েছে। এটি বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছিল। এখন বাড়তি হার প্রত্যাহার করেছে সরকার। ব্র্যান্ডের পোশাকে বাড়তি ভ্যাট থাকছে। যা ১০ শতাংশ হারে দিতে হবে।
ওষুধের ক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাটের হার ২ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছিল। এখন বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এতে ওষুধের দাম বাড়বে না বলে মনে করছে এনবিআর।
মিষ্টির দোকানেরও ভ্যাট হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। আগে এই হার ছিল সাড়ে ৭ শতাংশ। অর্থাৎ, মিষ্টির দোকানে ভ্যাট হার বেড়েছে আড়াই শতাংশ।
নন-এসি হোটেলের ওপর ভ্যাট হার ১৫ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। মোটর গাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপের ভ্যাটেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখানেও ১০ শতাংশ ভ্যাট করা হয়েছে।