কম বয়সে ভুল করেছি, ক্ষমা চাই: সাবেক আইএস বধূ শামীমা
নিজের অতীতের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাবেক আইএস বধূ শামীমা বেগম। পশ্চিমা পোশাক পরিহিত শামীমা লাইভে উপস্থিত হয়ে ব্রিটেনকে তাকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আকুতি জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে বলেন, তার কোনো ধারণা ছিল না আইএসআইএস কী ধরণের গোষ্ঠী।
তিনি নিজেই এই উগ্র সশস্ত্র গোষ্ঠীর ভিক্টিম দাবি করে তিনি বলে, পুনরায় তাদের সাথে যোগদানের চেয়ে তিনি মৃত্যুকেই বেঁছে নেবেন। ম্যানচেস্টারের আত্মঘাতী বোমা হামলাকে যুক্তিযুক্ত বলার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
২০১৫ সালে ১৫ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে তার আরও দুই বন্ধুর সঙ্গে সিরিয়ায় যান তিনি। তার নাগরিকত্ব বাতিল করেছে ব্রিটিশ সরকার।
আইটিভি'কে এক লাইভ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমি জানি ব্রিটিশদের জন্য আমাকে ক্ষমা করার চেষ্টা করা ও ক্ষমা করা অনেক কঠিন। তারা অনেকেই আইএসআইএসের হাতে প্রিয়জন হারিয়েছেন। কিন্তু, আমি নিজেও তাদের ভয়ে দিন কাটিয়েছি, প্রিয়জন হারিয়েছি। একারণে আমি তাদের দিকটা বুঝতে পারছি,"
তিনি দাবি করেন, তিনি শুধু বিয়ে করে মা হওয়া এবং ইসলামিক জীবন যাপনের উদ্দেশ্যে সিরিয়ায় যান।
"আমি জানতাম না তারা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ছিল। আমি একটি শুধুই একটি ইসলামিক দল ভেবেছিলাম,"
অভিযোগ আছে, শামীমা ক্যাম্পে অসুস্থ জিহাদীদের সেবা-শুশ্রুষা করেছেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে শামীমা জানিয়েছেন, তিনি সেখানে একজনের স্ত্রী হিসেবে থাকা ও মা হওয়া ছাড়া আর কিছুই করেননি।
এসব অভিযোগ ভুল প্রমাণিত করতে তিনি আদালতে লড়তে প্রস্তুত বলেও জানান।
'এ ধরনের কোনো প্রমাণ নেই কারণ আমি এমন কিছু করিইনি। আমি আইসের কাছে ফিরে যাওার চেয়ে বরং মারা যাবো," বলেন তিনি।
"আমি এখন অন্য ক্যাম্পে থাকছি। আমার সন্তানরা বেঁচে না থাকায় শুধু নিজের নিরাপত্তা নিয়েই চিন্তিত আমি। হিজাব ছেড়ে দেওয়ার জন্য আক্রমণের শিকার হলে তার দায়িত্বও আমার। আমি প্রতিনিয়ত নিজেকে পরিবর্তনের কাজ করছি," বলেন তিনি।
"তাদের কোনো কাজের প্রতিই আমার সমর্থন নেই। ধর্মের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা যুক্তিযুক্ত নয়,"
সিরিয়ায় যাওয়ার সময় তিনি অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন, আইএসের ঘৃণ্য কর্মকান্ডের ব্যাপারে কিছু জানতেন না, এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে তাকে যুক্তরাজ্যে ফিরতে দেওয়ার অনুরোধ করেন।
- সূত্র: ডেইলি মেইল