জানুয়ারিতে রেকর্ডকালের সর্বোচ্চ উষ্ণতা ছিল যুক্তরাষ্ট্রে
জলবায়ু পরিবর্তন মানুষেরই সৃষ্টি। মানুষ এই বিপদ ডেকে এনেছে পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়িয়ে। এরপরেও অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের মতো শিল্পোন্নত দেশের ডানপন্থী রাষ্ট্রনেতারা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কার্বন শূন্য অর্থনীতির পথে হাটতে খুব একটা উৎসাহী নন। তবে ট্রাম্প বা মার্কিন ডানপন্থী রাজনীতির সমর্থকদের জন্য দুঃসংবাদ দিয়েছেন দেশটির আবহাওয়াবিদরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি উষ্ণ মাস ছিল গত জানুয়ারি। এটা ইতিপূর্বে ২০১৬ সালের জানুয়ারি এক রেকর্ডকেও ভেঙ্গেছে। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া বিভাগ এই তথ্য জানায়।
ন্যাশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানায়, জানুয়ারিতে দেশটির ভুভাগ এবং সমুদ্রস্তরে গড় উষ্ণতা বিংশ শতাব্দির ৫৩ দশমিক ৬ ডিগ্রী ফারেনহাইটের রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলে। তাপমাত্রা বেশি হয় গড়ে ২ দশমিক শূন্য ৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট। ১৮৮০ সালের পর সবচেয়ে উষ্ণ মাস ছিল ২০১৬ সালের জানুয়ারি, গত মাস সেই রেকর্ড ভেঙ্গেছে দশমিক শূন্য দশমিক শূন্য চার ডিগ্রীর ব্যবধানে। খবর এএফপি'র।
মার্কিন আবহাওয়া বিভাগের ঘোষণা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্লাইমেট মনিটরিং সার্ভিসের দেওয়া তথ্যকেই সমর্থন করছে। গত সপ্তাহে ইইউয়ের এই সংস্থাটি একই ধরনের উষ্ণতা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। তবে সেখানে কিছুটা ভিন্ন তথ্যসূত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।
ইইউ ক্লাইমেট মনিটরিং সার্ভিস জানুয়ারিতে উত্তর মেরু সংলগ্ন রাশিয়া, স্ক্যান্ডেনেভিয়ার কিছু অংশ এবং পূর্ব কানাডার তাপমাত্রা স্বাভাবিক গড়ের চাইতে ৯ ডিগ্রী বেশি উষ্ণ বলে জানায়। এসময় আর্কটিক সাগরে বরফের আচ্ছাদন ১৯৮১-২০০০ সালের গড় থেকে কমেছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। আর দক্ষিণ মেরু সাগরে বরফের আচ্ছাদন ছিল ৯ দশমিক ৮ শতাংশ কম। প্রকৃতি এবং আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা উষ্ণতার এই প্রবণতার জন্য একবাক্যে অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণকেই দায়ী করছেন।