ট্রাম্পের অভিষেকের আগে ওয়াশিংটনে কয়েক হাজার মানুষের বিক্ষোভ
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের দুই দিন আগে শনিবার ওয়াশিংটন ডিসির রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন কয়েক হাজার মানুষ। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে নারীর সংখ্যা বেশি ছিল।
২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে 'পিপলস মার্চ' নামক এই কর্মসূচি। আগে এর নাম ছিল 'উইমেনস মার্চ'।
বিক্ষোভের আয়োজক সংগঠনগুলোর জোট এই কর্মসূচির লক্ষ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে 'ট্রাম্পবাদের মোকাবিলা করা'। নিউইয়র্ক সিটি ও ওয়াশিংটনের পাশাপাশি সিয়াটলেও ছোট পরিসরে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে।
অভিষেকের আগে ট্রাম্প যখন সাপ্তাহিক ছুটির (উইকএন্ড) বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন, তখনই এই বিক্ষোভ হলো।
তবে ওয়াশিংটনে এবারের পিপলস মার্চে উপস্থিতি আগের বছরগুলোর তুলনায় অনেকটাই কম ছিল।
আয়োজকরা আশা করেছিলেন ৫০ হাজার মানুষের জমায়েত হবে। তবে জমায়েত হয়েছে ৫ হাজার মানুষ।
বিক্ষোভকারীরা তিনটি পার্ক থেকে পদযাত্রা শুরু করে লিঙ্কন মেমোরিয়ালে গিয়ে সমাবেশ করেন।
কর্মসূচির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, আয়োজক সংগঠনগুলো জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন, নারী অধিকারসহ বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে কাজ করে।
আয়োজকরা ঘোষণা দিয়েছে, তারা 'অতীতের সাফল্য এবং স্বৈরাচারবিরোধী কার্যকর কৌশল থেকে শিক্ষা নিয়ে' ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে।
২০১৬ সালে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন পরাজিত হওয়ার পর থেকে এই আন্দোলন শুরু হয়।
ট্রাম্পের প্রথম অভিষেকের পরদিন নারীরা বিক্ষোভের ডাক দেন। লক্ষাধিক মানুষ সেই ডাকে সাড়া দিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন।
এরপর এই বিক্ষোভ সারা যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ে। লক্ষ লক্ষ নারী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নামেন।
উইমেনস মার্চ পরবর্তীতে ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে তথাকথিত প্রতিরোধ আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠে।
তবে এরপর আর কোনো সমাবেশে প্রথমবারের মতো বিশাল জনসমাগম দেখা যায়নি।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় ট্রাম্প ওয়াশিংটনে পৌঁছে অভিষেক উদযাপনের অংশ হিসেবে তার ভার্জিনিয়ার গলফ ক্লাবে ব্যক্তিগতভাবে আতশবাজির আয়োজন করেন।
ওয়াশিংটনে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নারীরা বিবিসিকে বলেন, তাদের প্রতিবাদের পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে।
ব্রুক নামে একজন বিক্ষোভকারী বলেন, তিনি গর্ভপাতের অধিকারের পক্ষে সমর্থন জানাতে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন।
কায়লা নামে আরেক নারী বলেন, 'আমি ভীষণ ক্ষুব্ধ, মর্মাহত এবং হতাশ।'