বিশ্ব পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রে ৩২ জনের মৃত্যু, সেনা মোতায়েন
করোনা ভাইরাসের ভয়ঙ্কর ছোবল থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছে না অর্থনীতি,বিজ্ঞান ও সামরিক শক্তিতে বিশ্বসেরা যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির কর্মকর্তারা এখন কোভিড-১৯ ভাইরাসটির প্রসার রোধে একের পর এক জরুরি পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
করোনা গোত্রের নতুন এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৩২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ। এই অবস্থায় দেশটির একাধিক অঙ্গরাজ্যে কার্যত জরুরি অবস্থা জারি করে। খবর সিবিএস নিউজ ও বিবিসির।
নিউইয়র্কের রাজ্য গভর্নর অ্যান্ড্রু কোয়েমো গত মঙ্গলবার নিউইয়র্ক শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত নিউ রোচেল এলাকাকে কোয়ারেন্টিন' এর আওতায় আনার ঘোষণা দেন।
কোয়ারেন্টিন কার্যকর করবে দেশটির সেনাবাহিনীর অঙ্গ সংগঠন ন্যাশনাল গার্ড। এর আওতায় পড়ছে নিউ রোচেলের এক বর্গমাইল এলাকা।
এর মাধ্যমে অঞ্চলটির সঙ্গে নিউইয়র্ক এবং দেশের অন্যান্য অংশের যাতায়াত কার্যত বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হলো। শুধুমাত্র চিকিৎসা কর্মী এবং প্রয়োজনীয় পণ্যবাহী যান সেখানে প্রবেশ করবে।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত যতো ব্যক্তির মাঝে করোনা সংক্রমণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে তাদের একটি বড় অংশ এই এলাকার বাসিন্দা। এই অবস্থায় নিউ রোচেলে স্কুল-কলেজ, উপাসনালয়সহ সকল প্রকার জনসমাগমস্থল বন্ধ করার নির্দেশ দেন রাজ্য গভর্নর।
অ্যান্ড্রু কোয়েমো বলেন, ন্যাশনাল গার্ড কোয়ারেন্টিন ঘোষিত এলাকার প্রতিটি বাড়িতে খাদ্য ও অন্যান্য দরকারি পণ্য সরবরাহ করবে। এছাড়াও তারা সড়ক এবং জনসমাগমস্থল যেন ফাঁকা থাকে তা নিশ্চিত করবে।
নিউইয়র্কে এখন পর্যন্ত ৩৬ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত করা গেছে। কিন্তু ৭৭ হাজার অধিবাসীর উপশহর নিউ রোচেলে এই সংখ্যা তার দ্বিগুণ বেশি। গভর্নর কুয়েমো একে একটি 'অদ্ভুত ব্যাপার' বলে উল্লেখ করেন।
মার্কিন গণমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে নিউ রোচেলে একটি সিনাগগ বা ইহুদি ধর্মের উপাসনালয় থেকে ভাইরাসটি সেখানে প্রথম ছড়িয়ে পরে। ওই উপাসনালয়ে নিয়মিত যেতেন এমন ১ হাজার ব্যক্তিকে এখন বিশেষ পর্যবেক্ষণে অন্য জনসাধারণ থেকে 'বিচ্ছিন্ন' করে রাখা হচ্ছে।