ভারতের ভ্যাকসিন সংগ্রহের সব তথ্য দেখাতে হবে: কেন্দ্রকে সুপ্রিম কোর্ট
জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচির আওতায় দেওয়ার জন্য তিনটি ভ্যাকসিন কিনেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এসব টিকা ক্রয়ের ইতিহাস নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে সরকারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
প্রতিবেশী দেশটিতে কোভিড-১৯ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে এক সুয়ো-মোটো শুনানি চলাকালীন আদালত এই নির্দেশ দিলেন।
ইতঃপূর্বে, ভারত সরকারের কেনা তিনটি ভ্যাকসিন হলো; অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রাজেনেকা আবিষ্কৃত ও স্থানীয়ভাবে সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত কোভিশিল্ড, ভারত বায়োটেক আবিষ্কৃত ও উদ্ভাবিত কোভ্যাক্সিন এবং রাশিয়ার তৈরি সিঙ্গেল ডোজ স্পুটনিক ফাইভ টিকা।
বুধবার (২ জুন) বিচারক ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, এল নাগেশ্বর রাও এবং এস রবীন্দ্র ভাটের তিন সদস্যের বেঞ্চ শুনানি চলাকালীন দেওয়া আদেশে বলেন, " সরকার প্রদত্ত তথ্যে কী পরিমাণ টিকা অর্ডার করা হয়েছে, সেগুলোর মান, অর্ডারের তারিখ এবং নির্ধারিত সরবরাহের দিনক্ষণ অবশ্যই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।"
এছাড়া, মোট জনসংখ্যার কত শতাংশ ইতোমধ্যে ভ্যাকসিনের অন্তত এক ডোজ পেয়েছেন তার সুষ্ঠু তথ্য চেয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। সে তুলনায় জাতীয় টিকা কর্মসূচির প্রথম তিনটি স্তর থেকে যারা (কোভিশিল্ড ও কোভাক্সিন) ডোজ গ্রহণের সুবিধা পেয়েছেন তাদের তথ্যও দিতে হবে।
ইতঃপূর্বে, গত জানুয়ারিতে ভারতের কেন্দ্রীয় ওষুধ প্রশাসন কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন টিকাকে অনুমোদন দেয়। এপ্রিলে জরুরি অনুমোদন পায় রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি।
প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে যারা এক ডোজ টিকা পেয়েছেন তাদের সম্পূর্ণরূপে (দ্বিতীয় ডোজ) টিকাকরণে সরকার কী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে- তা জানতে চেয়েছেন আদালত। এছাড়া, মিউকরমাইসিস বা 'কালো ছত্রাক' সংক্রমণে আক্রান্তদের চিকিৎসায় দরকারি ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তার একটি তালিকা দিতে বলেছেন।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এসব তথ্যের নথি কেন্দ্রীয় সরকারের হলফনামাসহ জমা দেওয়ার আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। এব্যাপারে পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ৩০ জুন নির্ধারণ করা হয়।