ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ‘সন্দেহভাজন’ চীনা নাগরিক আটক
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এক চীনা নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, পশ্চিমবঙ্গের মালদহে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় চীনের ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে। খবর এনডিটিভির।
তারা জানান, অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেবার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সীমান্তরক্ষীরা তাকে থামতে বললে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং তাতে ব্যর্থ হন। এরপরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহদীপুরের একটি সীমান্ত ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
আটক করার পর জানা যায় তার নাম হান জুনেই এবং তিনি চীনের হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা। গত ২ তারিখ তিনি 'বিজনেস ভিসা'য় বাংলাদেশে আসেন এবং এক বন্ধুর সাথে অবস্থান করেন। পরে তিনি সীমান্তবর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় চলে আসেন এবং ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করলে গ্রেপ্তার হন।
হান জুনেই জানান, এ পর্যন্ত তিনি চারবার ভারত সফর করেছেন এবং দিল্লির গুড়গাঁওতে তার একটি হোটেল রয়েছে যেখানে বেশ কয়েকজন ভারতীয় নাগরিক কাজ করেন। তিনি যখন চীনে থাকেন, তখন তার ব্যবসায়ের অংশীদার তাকে ভারতীয় সিম কার্ডের নাম্বার পাঠান।
কিছুদিন আগে তার ব্যবসায়িক অংশীদার সান জিয়াংকে গ্রেপ্তার করে লখনৌয়ের সন্ত্রাস বিরোধী স্কোয়াড (এটিএস)। এটিএস হান জুনেই এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করে, যার ফলে তাকে ভারতীয় ভিসা দেয়া হয় নি। এই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বাংলাদেশি ভিসার ব্যবস্থা করেন এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেন।
বাংলাদেশি ভিসাসহ একটি চীনা পাসপোর্ট, একটি ল্যাপটপ, ২টি মোবাইল ফোন, একটি বাংলাদেশি সিম কার্ড, একটি ভারতীয় সিম কার্ড এবং ২টি চাইনিজ সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে তার কাছ থেকে।
বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার এক বিবৃতিতে বলেছে, যে হান জুনেই একজন 'ওয়ান্টেড' অপরাধী এবং সকল গোয়েন্দা সংস্থা এ তদন্তে একত্রে কাজ করছে।
বিএসএফ এর একজন কর্মকর্তা জানান, হান জুনেই ইংরেজি জানেন না ফলে প্রাথমিকভাবে তার সাথে যোগাযোগে তাদের অনেক সমস্যা হয়েছে। পরে মান্দারিন ভাষা জানেন এমন একজন কর্মকর্তাকে ডেকে আনা হয়।
উল্লেখ্য, মালদহ'র সাথে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে এবং এই অঞ্চলটি মাদক, অস্ত্র, গবাদিপশু এবং অবৈধ অভিবাসীদের পাচারের জন্য প্রায়শই ব্যবহৃত হয়ে থাকে।