২০০৮ সালের আহমেদাবাদ বোমা বিস্ফোরণ মামলায় ৩৮ জনকে ফাঁসির আদেশ
আহমেদাবাদ বোমা বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত ৪৯ জনের মধ্যে ৩৮ জনকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের আদালত। ২০০৮ সালের ওই বিস্ফোরণে অভিযুক্ত আরও ১১ জনকে যাবজ্জীবনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার আহমেদাবাদের বিশেষ আদালত এই নির্দেশ দেন।
সেই ক্রমিক বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট ৫৬ জন নিহত হয়েছিলেন। পাশাপাশি ২০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। তদন্তে নামার পর ভারতীয় তদন্ত সংস্থাগুলো মোট ৪৯ জনকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করে।
বিস্ফোরণের ১৪ বছর পর অভিযুক্তদের সাজার ঘোষণা করা হল। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঘটনায় অভিযুক্ত ৪৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত। এরপর শুক্রবার তাদের সাজা ঘোষণা করা হলো।
২০০৮ সালের ২৬ জুলাই ১৯টি ক্রমিক বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ভারতের গুজরাট রাজ্যের বৃহত্তম শহরটি।
এ ঘটনায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত স্টুডেন্টস্ মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়ার নেতা সাফদার নাগোরি। আহমেদাবাদে বিস্ফোরণের আগে জয়পুর এবং বেঙ্গালুরুতেও একই রকমভাবে হামলা চালানো হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, বিস্ফোরণের মূল লক্ষ্য ছিল আহমেদাবাদের হাসপাতালগুলো। নিহত ৫৬ জনের মধ্যে আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালের বিস্ফোরণেই প্রাণ যায় ৩৭ জনের। এলজি হাসপাতালেও একটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে সেখানে কেউ আহত বা নিহত হননি।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আহমেদাবাদ এবং সুরাটে ৩৫টি ভিন্ন মামলা নথিভুক্ত করা হয়। বোমা বিস্ফোরণের জন্য আহমেদাবাদে মোট ২০টি এবং সুরাটে মোট ১৫টি মামলা দায়ের করা হয়। বিস্ফোরণের কয়েক দিন পরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ২৯টি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়।
ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন (আইএম) এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে। ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার প্রতিশোধ নিতেই এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে এই জঙ্গি সংগঠন দাবি করে।
- সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা