বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত শাহবাজ
পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন বিরোধী দল মুসলিম লীগ (নওয়াজ) পিএমএল-এন নেতা শাহবাজ শরীফ। তিনি ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটে জয় পাওয়া সম্মিলিত বিরোধী জোটেও নেতৃত্ব দেন।
সোমবার (১১ এপ্রিল) পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের উত্তরসূরি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ইমরানের দল তেহরিক- ই- ইনসাফের আইনপ্রনেতারা অধিবেশন বর্জন ও জাতীয় পরিষদ থেকে পদত্যাগ করায় বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছে শাহবাজ।
এর আগে গত শনিবার অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ইমরান সরকারের পতন ঘটায় বিরোধীরা।
ইমরান খান নিজেও জাতীয় পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগের আগে এপ্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, আমি পার্লামেন্টে 'চোর'দের সাথে বসব না।
ইমরানের বক্তব্য উদ্ধৃত করে পিটিআই- এর আনুষ্ঠানিক টুইটার একাউন্ট থেকে করা এক টুইটে বলা হয়, "যে মানুষটির বিরুদ্ধে ১৬০০ কোটি রুপি দুর্নীতির একটি মামলা রয়েছে, ৮০০ কোটি রুপি দুর্নীতির আরেকটি মামলা রয়েছে… সেই ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া ও নির্বাচিত করা দেশের প্রতি সবচেয়ে বড় অপমান। এজন্য আমরা (পিটিআই) জাতীয় পরিষদ থেকে পদত্যাগ করছি।"
শাহবাজ শরিফ ও তার দুই ছেলে হামজা ও সুলেমান শাহবাজের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নভেম্বরে একটি চাঞ্চল্যকর অর্থ-পাচার মামলা করা হয়। যা এখনও চলছে। একারণে এখনও পাকিস্তানের বাইরে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন সুলেমান।
আজ সোমবারেই এই মামলার রায় ঘোষণার কথা ছিল। তবে আদালত শাহবাজ ও হামজার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত রাখার ঘোষণা রেখেছেন। দিয়েছেন অগ্রিম জামিন নেওয়ার সুবিধা। ফলে প্রধানমন্ত্রী পদ নিশ্চিন্তে গ্রহণের সুযোগ পেলেন শাহবাজ।
- সূত্র: দ্য ডন, এনডিটিভি