আজভস্তাল যোদ্ধাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে ইউক্রেন
ইউক্রেনের অবরুদ্ধ বন্দর শহর মারিউপোলের আজোভস্তাল স্টিলওয়ার্কসে আটকে পড়া সেনাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ মে) ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইউক্রেনের সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "মারিউপোলের গ্যারিসন নির্ধারিত মিশন সম্পন্ন করেছে। সর্বোচ্চ সামরিক কমান্ড আজভস্তালে অবস্থানরত ইউনিটের কমান্ডারদের প্রতি কর্মীদের জীবন বাঁচানোর নির্দেশ জারি করেছে।"
ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই রাজনৈতিক ইস্যুতে দুইদেশের মধ্যে সংঘাত চলছে। প্রায় ৮ বছর আগে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অংশ দখল করে নেয় রাশিয়া। এরপর থেকে দেশটির আরও একটি অংশ ডনবাসের ভাগ্য নিয়েও দীর্ঘ সময় ধরে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা। মস্কোপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থনে ও মদদে প্রায় তিনমাস ধরে পূর্ণাঙ্গ দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে রাশিয়া এবং ইউক্রেন।
রুশ সংবাদ সংস্থা আরটি নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার আত্মসমর্পণের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়। এ সময় ২৬৪ সেনা আজভস্তাল ইস্পাত কারখানা ত্যাগ করে।
রুশ সূত্রের অনুমান, প্রায় ২ হাজার ২০০ লোক আজভস্তাল কমপ্লেক্সের বেসমেন্টে আটকা পড়ে আছে। জায়গাটির আয়তন কমপক্ষে ১১ বর্গ কিলোমিটার এবং এর ভূগর্ভস্থ অংশ পারমাণবিক আক্রমণকে প্রতিরোধ করার মতো করে নির্মাণ করা হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী অ্যানা মালিয়া এবং সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ জানিয়েছেন, যারা আত্মসমর্পণ করবে তাদেরকে কিয়েভকর্তৃক বন্দী হওয়া রুশ যুদ্ধবন্দীদের সঙ্গে বিনিময় করা হবে। তবে, উভয়পক্ষের বন্দী বিনিময়ের শর্তাদি এখনও ঠিক করা হয়নি।
এদিকে, মস্কো এখনও বন্দী বিনিময়ের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি।
আজভস্তাল ইস্পাত কারখানা থেকে সমস্ত ইউক্রেনীয় সেনা চলে যাওয়ার পর অনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে মারিউপোল সংঘাত। ইউক্রেন আগ্রাসনের শুরু থেকেই রাশিয়া কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটিকে টার্গেট করেছিল। রুশ বাহিনী শুরু থেকেই মারিউপোলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে লড়াই চালিয়ে আসছিল। মারিউপোলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে এটিই হবে চলমান সংঘাতে রাশিয়ার দখল করা ইউক্রেনের প্রথম বড় শহর।
- সূত্র:আরটি নিউজ