জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচ করোনায় আক্রান্ত
দীর্ঘ ১০ মাস পর মাঠে নেমেই জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। প্রীতি ম্যাচে নেপালকে হারিয়ে ফেরার পর্ব রাঙিয়েছেন জামাল-জীবনরা। ম্যাচ শেষে ১০ লাখ টাকার পুরস্কার পাওয়ার ঘোষণা শোনেন ফুটবলাররা। সব মিলিয়ে সুখী পরিবারের মতো সময় পার হচ্ছিল। কিন্তু একদিন পরই এলো দুঃসংবাদ। জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি ডে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মিডিয়া বিভাগের কর্মকর্তা খালিদ মাহমুদ নওমি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আক্রান্ত হলেও জেমি ডের শরীরে কোনো উপসর্গ নেই। তার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে বলে জানান নওমি। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ইংলিশ এই কোচ।
খালিদ মাহমুদ বলেন, 'স্বাভাবিক রুটিন অনুযায়ী সবার করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছিল। আমাদের হেড কোচ জেমি ডের করোনা পজিটিভ এসেছে। তার কোনো উপসর্গ নেই। প্রধান কোচ পুরোপুরি সুস্থ আছেন। উনার খাওয়া-দাওয়া, চলাফেরা সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে।'
নেপালের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে জাতীয় ফুটবল দলের জন্য এটা বড় ধাক্কাই। দ্বিতীয় ম্যাচে জেমি ডে'কে ডাগ আউটে পাওয়া যাবে না। অনুশীলনও চালিয়ে যেতে হবে তাকে ছাড়াই। রোববার সকালে অনুশীলন থাকলেও পরিবর্তন করে বিকালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান বলেন, 'জেমির করোনা পজিটিভ হওয়াটা অপ্রত্যাশিত। আমরা খুব ভালো অবস্থানে ছিলাম। কোচ দারুণভাবে দলকে চাঙ্গা করছিল। দ্বিতীয় ম্যাচেও আমরা জয়ের জন্য মুখিয়ে, ছেলেরা আত্মবিশ্বাসী। এখন কোচ ছাড়া খেলতে হবে। তবুও আমাদের বিশ্বাস, আমরা জিততে পারব। আজ সকালে ট্রেনিং করার কথা ছিল, পরিবর্তন করে বিকেলে নেওয়া হয়েছে।'
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতে বাংলাদেশেই ছিলেন জেমি ডে। অপেক্ষা করছিলেন অবস্থা ভালো হওয়ার। কিন্তু অবস্থা ভালো হয়নি, উল্টো সব কিছু স্থবির হয়ে পড়ে। করোনার কারণে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে আফগানিস্তান ও কাতারের বিপক্ষের ম্যাচ স্থগিত হয়ে যায়। জাতীয় দলে দায়িত্ব না থাকায় দেশে ফিরে যান জেমি ডে। দীর্ঘ বিরতির পর গত ২৯ অক্টোবর ঢাকা ফেরেন তিনি।