টি-টোয়েন্টিতেও বড় হারে শুরু
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তেমন লড়াই-ই করতে পারেনি বাংলাদেশ। ৫০ ওভারের ফরম্যাটে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেছিলেন, দলে জয়ের ক্ষুধা তীব্র। কিন্তু তিন ম্যাচের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সেটার প্রতিফলন দেখা গেল না। উল্টো ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়ংয়ের ব্যাটিংয়ে দর্শক হয়ে থাকলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তাতে আরও একটি ম্যাচে বড় হারের স্বাদ নিতে হলো বাংলাদেশকে।
হ্যামিল্টনে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। নাসুম আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের অভিষেকের ম্যাচে অসহায় থেকে গেছে মাহমুদউল্লাহর দল। নিউজিল্যান্ড সফরে বাস্তবতা এমন হয়ে উঠেছে যেন হারই অমোঘ নিয়তি বাংলাদেশের।
সেডন পার্কে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে কনওয়ে ও ইয়ংয়ের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩ উইকেটে ৩১০ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে নিউজিল্যান্ড। কনওয়ে ৯২ ও ইয়ং ৫৩ রান করেন। জবাবে কিউই লেগ স্পিনার ইশ সোদির ঘূর্ণিতে ১৪৪ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস। দলের ৬ জন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কেও পৌঁছাতে পারেনননি। এর মধ্যে দুজন খুলতে পারেননি রানেই খাতাই।
বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয় হতাশার। দলীয় ২০ রানে ফিরে যান সফরে নিজের ছায়া হয়ে থাকা লিটন দাস। কিউই পেসার টিম সাউদির বলে ক্যাচ তুলে ফেরেন ডানহাতি এই ওপেনার। নাঈম শেখ ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৮ বলে ২৭ রান করে থামেন তরুণ এই ওপেনার।
এরপর ইশ সোদির শিকারে পরিণত হয়ে সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুন দ্রুতই ফিরেছেন। কিউই লেগ স্পিনারকে সামলে দলের বিপদে ব্যাট চালাতে পারেননি তারা। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও সোদির শিকার, ১১ রান করে ফেরেন তিনি। ব্যতিক্রম কেবল আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
আফিফ ৩৩ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৫ রান করেন। সাইফউদ্দিন ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। সোদি একাই তুলে নেন ৪ উইকেট। এ ছাড়া লকি ফার্গুসন ২টি এবং টিম সাউদি ও হামিশ বেনেট একটি করে উইকেট পান।
এরআগে ব্যাটিং করা নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা বাংলাদেশের বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন। অথচ বল হাতে দারুণ শুরু ছিল বাংলাদেশের। অভিষিক্ত স্পিনার নাসুম আহমেদ ইনিংসের প্রথম ওভারেই কিউই ওপেনার অ্যালেন ফিনকে ফিরিয়ে দেন। শুরুতেই উইকেট হারানোর চাপ কাটিয়ে মার্টিন গাপটিল ও ডেভন কনওয়ে যখন উইকেটে থিতু হয়ে ওঠেন, তখন আবারও আঘাত হানেন নাসুম।
এবার তার শিকার ৩৫ রান করা গাপটিল। কিন্তু নাসুম পারলেও অন্যরা দলের হয়ে অবদান রাখতে পারেননি। তৃতীয় জুটিতে ৯৫ রান যোগ করেন কনওয়ে ও ইয়ং। এই জুটিতে ১৬.৫ ওভারে ১৫৩ রানে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। ইয়ং ৩০ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৩ রান করে আউট হন। কিন্তু কনওয়ে ঝড় চলে শেষ পর্যন্ত।
বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৫২ বলে ১১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৯২ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেন। শেষের দিকে বেশি বল না পেলেও ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে সমস্যা হয়নি গ্লেন ফিলিপসের। ১০ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় হার না মানা ২৪ রান করেন তিনি। ৩০ রান খরচায় ২ উইকেট নেন নাসুম। বাকি উইকেটটি আরেক স্পিনার মাহেদী হাসানের শিকার।