তামিমময় ম্যাচে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ
জিম্বাবুয়েকে নিয়ে যেন ছেলেখেলায় মেতে উঠেছে বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডেতে ৩২১ রান করে ১৬৯ রানের জয় তুলে নেওয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও রানের পাহাড় গড়েছে। মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ৩২২ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে মাশরাফিবাহিনী।
প্রথম ওয়ানডেতে লিটনের সেঞ্চুরির সঙ্গে মোহাম্মদ মিঠুন, সাইফউদ্দিনদের মাঝারি ইনিংসে বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তামিমের সঙ্গে তাল মিলিয়েছেন মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। তাতে আবারও রান পাহাড়ে চড়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
আগের ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস গড়ে বাংলাদেশ। তামিমের চোখ ধাঁধানো ১৫৮ রানের সুবাদে দ্বিতীয় ম্যাচে সেটা ছাড়িয়ে গেল। ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
দলের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস গড়ার দিনে তামিম নিজেকেই ছাড়িয়ে গেছেন। এর আগে ওয়ানডেতে ১৫৪ রান ছিল তামিমের সেরা ইনিংস। এটি বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যেও সর্বোচ্চ ছিল। এই ম্যাচে সেটাকে ১৫৮-তে নিয়ে গেলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি এই অভিজ্ঞ ওপেনার।
যদিও টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। রান আউটের শিকার হয়ে দলীয় ৩৮ রানে বিদায় নেন লিটন দাস। কিছুক্ষণ পর ভুল বোঝাবুঝির কারণে রান আউট হয়ে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্তও। এতেও অবশ্য দলকে বিপদে পড়তে দেননি তামিম ও মুশফিকুর রহিম।
এই জুটি থেকে ৮৭ রান পায় বাংলাদেশ। দলীয় ১৫২ রানে আউট হওয়ার আগে ৫০ বলে ৬টি চারে ৫৫ রান করেন মুশফিক। মুশফিকের সঙ্গে ব্যাটিং করা অবস্থায়ই সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তামিম। ১০৬ বলে ১৪টি চারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরিতে পৌঁছান তিনি। ২ বছর পর (২৩ ম্যাচ) ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
মুশফিক ফিরলেও অন্য প্রান্তে অবিচল তামিম নতুন সঙ্গী হিসেবে পান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। এই জুটি বাংলাদেশকে সবেচেয়ে বেশি রান এনে দিয়েছে। তামিম ও মাহমুদউল্লাহ মিলে ১০৬ রান যোগ করেন। মাহমুদউল্লাহ ৪১ রান করে থামেন।
৯৫.২৮ স্ট্রাইক রেটে সেঞ্চুরি করলেও তামিম তারপরই রণমূর্তি ধারণ করেন। জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দিতে শুরু করেন তিনি। মাত্র ৩০ বলে শেষ ৫৭ রান তোলেন তামিম। দলীয় ২৯২ রানে আউট হন তামিম। এর আগে ১৩৬ বলে ২০টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১৫৮ রানের চোখ জুড়িয়ে দেওয়া এক ইনিংস খেলেন লম্বা সময় ধরে খারাপ সময়ের মধ্যে থাকা বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই ওপেনার।
তামিম বিদায় নেওয়ার পর বাংলাদেশের রান তোলার গতি কমে যায়। এক সময় সাড়ে তিনশর পথে থাকলেও বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ৩২২ রানে। মোহাম্মদ মিঠুন ১৮ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় অপরাজিত ৩২ রান করেন। জিম্বাবুয়ের কার্ল মুম্বা ও ডোনাল্ট টিরিপানো ২টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩২২/৮ (তামিম ১৫৮, মুশফিক ৫৫, মাহমুদল্লাহ ৪১; মুম্বা ২/৬৪, টিরিপানো ২/৫৫)।