দ্বিতীয় ইনিংসে অন্য বাংলাদেশ, বাড়ছে লিড
ক্রিকেটকে বলা হয় গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। ব্যাপারটি যেন টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে সবচেয়ে ভালো যায়। যে টেস্টে কোণঠাসা থেকে বোলিং শুরু করলো বাংলাদেশ, সেই টেস্টে একদিন পর তারাই এখন চালকের আসনে। অল্প পুঁজি নিয়েও প্রথম ইনিংসে লিড পাওয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে দাপুটে ব্যাটিং করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ১২৮ রান।
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্কে নাহিদ রানার দুর্বার বোলিংয়ের সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ১৪৬ রানে। আগে ব্যাটিং করে ১৬৪ রান তোলা বাংলাদেশ পায় ১৮ রানের লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়ানডে স্টাইলে রান তুলে যাচ্ছে তারা। দ্বিতীয় সেশন শেষ হওয়ার আগে ২০ ওভারে ২ উইকেটে সফরকারীদের সংগ্রহ ১১০ রান।
সাদমান ইসলাম অনিক ৭২ বলে ৪৪ ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ২২ বলে ২৬ রানে অপরাজিত আছেন। তাদের তৃতীয় উইকেট জুটি থেকে ৬২ বলে এসেছে ৬৩ রান। এ দুজনের ব্যাটে ১৫.৪ ওভারেই ১০০ পূর্ণ করে বাংলাদেশ। ভালো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি শাহাদাত হোসেন দিপু, ২৬ বলে ২৮ রান করে আউট হন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৩ রান করা মাহমুদুল হাসান জয় এই ইনিংসে রানের খাতা খুলতে পারেননি।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস গুঁড়িয়ে দেওয়ায় নেতৃত্ব দেন নাহিদ। ২২ বছর বয়সী ডানহাতি এই পেসার তুলে নেন ৫ উইকেট। যা তার ক্যারিয়ারের প্রথম ও সেরা বোলিং। নাহিদের বোলিং ফিগারটি বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে ষষ্ঠ সেরা বোলিং। প্রতিপক্ষের মাঠে ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া বাংলাদেশের দশম পেসার তিনি। ১৯ রানে ২ উইকেট পান হাসান মাহমুদ। তাসকিন আহমেদ ২০ রানে নেন একটি উইকেট। মিরাজ ও তাইজুলও একটি করে উইকেট পান।
১ উইকেটে ৭০ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ আজ ৭৬ রানেই বাকি ৯ উইকেট হারায়। দলটির প্রথম তিন ব্যাটসম্যান ছাড়া কেউ-ই দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। ক্যারিবীয় অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েট করেন ৩৯ রান। সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন কেসি কার্টি। ১২ রান আসে মিকাইল লুইয়ের ব্যাট থেকে। বাকিদের কেউ ৮ রানের বেশি করতে পারেননি।