আগুনে নাহিদের সঙ্গে হাসান-তাসকিন তোপে বাংলাদেশের লিড
ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৬৪ রান তুলে কোণটাসা অবস্থাতেই ছিল বাংলাদেশ। তার ওপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবলীল শুরু আরও চাপ বাড়ায়। কিন্তু তৃতীয় দিনে সব হিসেব নিমেষেই পাল্টে গেল। গতির ঝড় তুলে ক্যারিবীয়দের পথ ভুলিয়ে দিলেন নাহিদ রানা। সঙ্গে থাকলো হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদের তোপ। অবদান রাখলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামও। শেষ পর্যন্ত অল্প পুঁজিতেও প্রথম ইনিংসে লিড পেল বাংলাদেশ।
জ্যামিইকার স্যাবাইনা পার্কে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানেই অলআউট হয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে ১৮ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে লিড বাড়িয়ে নিচ্ছে তারা। ১০ ওভার শেষে ১ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৬, লিড দাঁড়িয়েছে ৬৫ রান। সাদমান ইসলাম অনিক ১২ ও শাহাদাত হোসেন দিপু ২৮ রানে ব্যাটিং করছেন।
১ উইকেটে ৭০ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে ক্যারিবীয়রা। এদিনের শুরুতেই আঘাত হানেন গতি, আগ্রাসন আর বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নেওয়া নাহিদ। আগের দিন স্বাগতিকদের যাওয়া একটি উইকেট নেওয়া ডানহাতি এই পেসার আজ শুরুর দুই উইকেটই নিজের করে নেন। এখান থেকে দিক হারানো স্বাগতিকরা আর ঠিক পথ খুঁজে পায়নি। উল্টো বাংলাদেশের বোলাররা তাদের আরও চেপে ধরেন।
এর মাঝেও কেসি কার্টি চেষ্টা করেন সামাল দেওয়ার, কিন্তু তাকে ফিরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পথ কঠিন করে তোলেন হাসান। এরপর অল্প সময়ের ব্যবধানেই ইনিংস গুটিয়ে যায় ঘরের মাঠের দলটির। বাংলাদেশের দুর্বার বোলিংয়ের সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম তিন ব্যাটসম্যান ছাড়া কেউ-ই দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েট করেন ৩৯ রান। সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন কার্টি। ১২ রান আসে মিকাইল লুইয়ের ব্যাট থেকে।
মাত্র ষষ্ঠ টেস্ট খেলতে নেমে অবিশ্বাস্য বোলিং করা নাহিদ ৬১ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট নিলেন তিনি, যা তার টেস্ট ক্যারিয়ার সেরাও। নাহিদের বোলিং ফিগারটি বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে ষষ্ঠ সেরা বোলিং। প্রতিপক্ষের মাঠে ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া বাংলাদেশের দশম পেসার তিনি। ১৯ রানে ২ উইকেট পান হাসান। দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করা তাসকিন ২০ রানে পান একটি উইকেট। মিরাজ ও তাইজুলও একটি করে উইকেট পান।