দারুণ শুরুর পরও বাংলাদেশের ছোট পূঁজি
উদ্বোধনী জুটিতে পরিবর্তন আনার সুফল মিলেছিল। সৌম্য সরকারকে সরিয়ে নাঈম শেখের সঙ্গে পাঠানো হয় মাহেদী হাসানকে। তাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথমবারের মতো দাপুটে শুরু পায় বাংলাদেশ। দারুণ শুরুর পর মনে হচ্ছিল বড় সংগ্রহের পথেই হাঁটছে ঘরের মাঠের দলটি। যদিও শেষ পর্যন্ত তেমন হয়নি। আবারও সেই ব্যাটিং ব্যর্থতা।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮ উইকেটে ১২২ রান তুলেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানই ইনিংস বড় করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ২৩ রানের ইনিংস খেলেন নাঈম।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন নাঈম ও মাহেদী। উদ্বোধনী জুটিতে এই দুই ব্যাটসম্যান ৪২ রান যোগ করেন, এই রান তুলতে তাদের খরচা ৪.৩ ওভার। দারুণ শুরুর ভালো লাগা অবশ্য বেশি সময় টেকেনি। দলীয় ৪২ রানে থামেন মাহেদী। অজি স্পিনার অ্যাশটন টার্নারের ডেলিভারিটি বুঝতে না পেরে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন ১৩ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
নাঈম ও সাকিব আল হাসান মিলে দলকে ছন্দে ফেরানোর চেষ্টা করেন। যদিও তাদের জুটি দীর্ঘ হয়নি। দলীয় ৫৭ রানে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন ২৩ বলে একটি চার ও একটি ছক্কায় ২৩ রান করা নাঈম। এরপর সাকিবও পারেননি দলের হয়ে ব্যাট চালাতে। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও রান তুলতে হিমশিম খেতে হয় বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারকে। ১১ রান করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি।
উদ্বোধনী থেকে চারে নামিয়ে দেওয়া সৌম্য সরকার ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টায় মন লাগান। তারাও পারেননি জুটি বড় করতে। চতুর্থ উইকেটে ২৪ রান যোগ করেন তারা। এ সময় বিদায় নেন ১৪ বলে একটি ছক্কায় ১৯ রান করা মাহমুদউল্লাহ।
দেখেশুনে খেলতে থাকা সৌম্য ১৮ বলে একটি চার ও একটি ছক্কায় ১৬ রান করে ড্যান ক্রিশ্চিয়ানের শিকারে পরিণত হন। এরপর উইকেটে কঠিন সময় কাটানো নুরুল হাসান সোহান ৮ রান করে বিদায় নেন। আফিফ হোসেন ধ্রুব করেন ১০ রান। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৮ বলে ৪ রান করেন। শেষের ৫ ওভারে মাত্র ২০ রান তোলে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন টি-টোয়েন্টি অভিষেক হ্যাটট্রিক করে বিশ্ব রেকর্ড করা নাথান এলিস। ডানহাতি এই অজি পেসার ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচা করেন, উইকেট নেন ২টি। অলরাউন্ডার ড্যান ক্রিশ্চিয়ানও দারুণ ছিলেন, ৪ ওভারে ১৬ রানে ২ উইকেট নেন তিনি। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নেন তিন স্পিনার অ্যাশটন অ্যাগার, অ্যাশটন টার্নার ও অ্যাডাম জ্যাম্পা।