নেইমারদের কাঁদিয়ে ইউরোপ সেরা বায়ার্ন
নিশ্বাস দূরত্বে গিয়েও শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হলো না নেইমার-এমবাপ্পেদের। ইতিহাস গড়া হলো না প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠা প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি)। জার্মান শাসন মুখ বুজেই মেনে নিতে হলো ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের। পুরো আসরে ছড়ি ঘোরানো বায়ার্ন মিউনিখই উঁচিয়ে ধরলো বিজয় কেতন। পিএসজিকে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ঘরে তুলল জার্মানির দলটি।
ইউরোপ সেরা হওয়ার ম্যাচে রোববার রাতে পর্তুগালের লিসবনে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। কিংসলে কোমানের করা একমাত্র গোলে ৭ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপার স্বাদ পেল জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। সর্বশেষ ২০১২-১৩ মৌসুমে ইউরোপ সেরা হয়েছিল বায়ার্ন।
২০২০ সালে অদম্য চেহারায় দেখা গেছে বায়ার্নকে। এ বছর কোনো ম্যাচে হারেনি মিউনিখের দলটি। ছক এঁকে পা ফেলার পথে সব সাফল্যই ধরা দিয়েছে বায়ার্নের মুঠোয়। বুন্দেসলিগা, জার্মান কাপের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাও উঠলো তাদের ট্রফি কেসে। এ নিয়ে তৃতীয়বার ট্রেবল জিতল বায়ার্ন।
বার্সেলোনা ও অলিম্পিক লিঁওকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে ফাইনালে ওঠা বায়ার্নকেই সবাই এগিয়ে রেখেছিল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের অভিজ্ঞতা ও দারুণ ফর্মের কারণে অনেকে আগেই থেকেই তাদের হাতে শিরোপা দেখতে পাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সেই সম্ভাবনাকেই মাঠে বাস্তবে রূপ দিল জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।
নেইমার-এমবাপ্পেদের পায়ে ভর দিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠা পিএসজিও শিরোপা ছোঁয়ার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছিল। কিন্তু শেষ লড়াইয়ে তাদেরকে সেরা ছন্দে দেখা যায়নি। বায়ার্নের আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে নিজেদের ছায়া হয়ে উঠেছিলেন নেইমার, এমবাপ্পে, ডি মারিয়ারা। সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তারা।
যদিও শুরু থেকে দারুণ লড়েছে পিএসজি। আক্রমণ সামলে বল নিয়ে বায়ার্নের ডি-বক্সে হানা দিয়েছেন নেইমার-এমবাপ্পেরা। কিন্তু জালের দেখা মেলেনি। ধুন্ধুমার লড়াইয়ের প্রথমার্ধে বায়ার্নও অবশ্য গোলের দেখা পায়নি। গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।
বিরতি থেকে ফিরে যেন গতি আরও বাড়িয়ে দেয় বায়ার্ন। সাফল্যের দেখা মেলে ৫৯তম মিনিটে। জসুয়া কিমিসের ক্রস থেকে হেডে গোল করে বায়ার্নকে উৎসবে মাতান কিংসলে কোমান। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটা বায়ার্নের ৫০০তম গোল। বায়ার্নের আগে এই মাইলফলক ছুঁয়েছে দুই স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা।
গোল হজম করে খেই হারিয়ে ফেলে পিএসজি। বাকিটা সময় তেমন সুযোগও তৈরি করতে পারেনি ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। উল্টো ব্যবধান দ্বিগুন করার সুযোগ পেয়েছিল বায়ার্ন। যদিও কোমানের আক্রমণ রুখে দেন পিএসজির ডিফেন্ডার চিয়াগো সিলভা। ম্যাচের বাকিটা সময়ে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ চললেও কোনো দেল জালের ঠিকানা পায়নি।