পথ খুঁজে পাওয়া তামিমের আরেকটি সেঞ্চুরি
চেনা পথই বেঁকে গিয়েছিল। চিরচেনা ২২ গজ হয়ে উঠেছিল ভিনগ্রহের মতো কিছু একটা। যেখানে রান ছিল সোনার হরিণের চেয়েও দামি। এর সঙ্গে তলানিতে নেমে আসা স্ট্রাইক রেট তামিম ইকবালকে রীতিমতো কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। দুঃসময়ে ধৈর্যই ছিল বাংলাদেশ ওপেনারের প্রধান অবলম্বন; সঙ্গে দলের সমর্থন। তাতে নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন তামিম। ফিরে এসেছেন রাজার মতো।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করা তামিম তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতেও নিজের ব্যাটকে খোলা তরবারিতে পরিণত করলেন। শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি তুলে নিলেন দেশসেরা এই ব্যাটসম্যান।
বাংলাদেশ বাঁহাতি এই ওপেনার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেলেন ১৫৮ রানের ইনিংস। যা তামিম এবং বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এই ইনিংসে বাংলাদেশের প্রথম এবং ওয়ানডে ইতিহাসের ৪২তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তামিম।
তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করে নিজের পেছনের দুটি ইনিংসের কথাই মনে করিয়ে দিলেন তামিম। ২০১৫ সালে ঘরের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা দুই ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। পাঁচ বছর পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করার তৃপ্তি নিলেন অভিজ্ঞ এই ওপেনার।
১৩তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার দিন তামিম আরও বেশি সাবলীল ছিলেন। স্ট্রাইক রেটও রেখেছেন ১০০- এর ওপরে। ১২তম সেঞ্চুরি ৯৫.২৯ স্ট্রাইক রেটে করলেও শুক্রবার ১০২.৪ স্ট্রাইক রেটে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছেছেন তামিম। ৯৮ বলে ৫টি চার ৪টি ছক্কায় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।
তামিমের সেঞ্চুরির ম্যাচে অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন লিটন দাসও। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানও করেছেন সেঞ্চুরি। ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের দুই ওপেনারই সেঞ্চুরির দেখা পেলেন।
বৃষ্টির কারণে ৪৩ ওভারে নামিয়ে আনা ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ১০৯ বলে ১২৮ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম। এর মধ্যে চার মেরেছেন ৭টি এবং ছক্কা মেরেছেন ৬টি। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩২২ রান।