রাজশাহীর টানা দ্বিতীয় জয়
হারতে হারতে প্রথম ম্যাচ জিতেছিল মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। দ্বিতীয় ম্যাচে আর তেমন হলো না। শাসন করেই জেমকন খুলনাকে হারিয়ে দিলো নাজমুল হোসেন শান্ত দল। মাহমুদউল্লাহ-সাকিবদের দলকে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে রাজশাহী। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে এটা তাদের টানা দ্বিতীয় জয়।
অথচ রাজশাহীকে নিয়ে কেউ সেভাবে সম্ভাবনাই দেখেনি। দলটিতে নেই 'এ' গ্রেডের কোনো ক্রিকেটার। সেরা পছন্দ হিসেবে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে দলে ভেড়ালেও চোটের কারণে সাত দিনের জন্য ছিটকে গেছেন এই অলরাউন্ডার। কিন্তু এই রাজশাহীই টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা দুই দলকে হারিয়ে ছুটে চলেছে।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শের বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে জেমকন খুলনা। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও শুরুটা ভালো ছিল না খুলনার। এনামুল হক বিজয়, শামীম পাটোয়ারি ও আগের ম্যাচের নায়ক আরিফুল হকের ব্যাটে ৬ উইকেটে ১৪৬ রান তোলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।
জবাবে জয় তুলে নিতে খুব বেশি বেগ পোহাতে হয়নি মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীকে। নাজমুল হোসেন শান্তর হাফ সেঞ্চুরির পর রনি তালুকদার, মোহাম্মদ আশরাফুল, নুরুল হাসান সোহানদের ব্যাটে ১৭.২ ওভারেই ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় রাজশাহী।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো করতে পারেনি রাজশাহী। দলীয় ২৫ রানে বিদায় নেন ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন। শুরুর চাপ দলকে বুঝতে দেননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। রনি তালুকদারকে সাথে নিয়ে দলকে অনেকটা পথ এগিয়ে দেন ম্যাচ সেরা শান্ত। রনি ২৬ রান করে ফিরলেও শান্ত হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ৩৪ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৫ রান করেন তিনি।
এরপর মোহাম্মদ আশরাফুলকে এক পাশে রেখে দ্রুত রান তোলার কাজটা সারেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। ১৬ বলে ২টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৬ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। বাকি কাজটুকু সেরেছেন আশরাফুল ও নুরুল হাসান সোহান। আশরাফুল ২৫ ও সোহান ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। খুলনার লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ২টি এবং দুই পেসার আল আমিন হোসেন ও শহিদুল ইসলাম।
এরআগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় খুলনা। সুইপ করতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। দলীয় ৪ রানেই উইকেট হারানো খুলনা দ্বিতীয় জুটিতেও ইনিংস গুছিয়ে নিতে পারেনি। ১২ রান করে বিদায় নেন সাকিব আল হাসান। এক পাশে এনামুল হক বিজয় ব্যাট চলাতে থাকেন।
যদিও ডানহাতি এই ওপেনারের পথও দীর্ঘ হয়নি। ২৫ রান করে রান আউটের শিকার হন তিনি। এরপর দ্রুতই ফেরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জহুরুল ইসলাম অমি। দলের দুঃসময়ে আবারও ত্রাতার ভূমিকায় হাজির হন আরিফুল হক। আগের ম্যাচের শেষ ওভারে ৫ বলে চার ছক্কা মেরে দলকে জেতানো আরিফুল ৩১ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪১ রান করেন।
তরুণ শামীম পাটোয়ারি ২৫ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৫ রান করেন। রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন মকিদুল ইসলাম অঙ্কন। এ ছাড়া একটি করে একটি করে উইকেট পান এবাদত হোসেন, মাহেদী হাসান ও আরাফাতি সানি।