৪০ লাখ টাকা দাম উঠল মুশফিকের ব্যাটের
নিলাম শুরু হয়েছে চারদিন আগে। চলবে আরও দুই দিন। এরই মধ্যে নিলামে তোলা মুশফিকুর রহিমের ইতিহাসগড়া ব্যাটের দাম ৪০ লাখ উঠে গেছে। করোনাভাইরাস দুর্গতদের সাহায্যে নিজের সবচেয়ে প্রিয় ব্যাটটি নিলামে তুলেছেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
এই ব্যাটটির সঙ্গে কেবল মুশফিকই নয়, জড়িয়ে আছে দারুণ এক শুরুর গল্পও। এই ব্যাটটি দিয়েই ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেন মুশফিক। সবার আগে এই ব্যাটটি নিলামে তোলার ঘোষণা দেন তিনি।
নিলামের কাজটি আগে করে দেখিয়েছেন নিলামের পরামর্শ দেওয়া সাকিব আল হাসান। ক্রিকেটাররা তাদের ক্রিকেট সামগ্রী নিলামে তুলতে পারেন, এমন পরামর্শ দেওয়ার পরদিনই নিজের অন্যতম প্রিয় ব্যাটটি নিলামে তোলেন সাকিব। ২০১৯ বিশ্বকাপে তার ইসিহাসগড়া ব্যাটটি বিক্রি হয় ২০ লাখ টাকায়।
নিজের ব্যাটের মূল্য কত উঠেছে, সেটা দেখার সুযোগ করে দিতে নিলামের লিঙ্ক ফেসবুকে শেয়ার করেছেন মুশফিক। ৬ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যের এই ব্যাটটির জন্য এখন পর্যন্ত ৫২টি বিড হয়েছে।
নিলামে তোলা হয়েছে আরও বেশ কিছু ক্রিকেট সামগ্রী। বাংলাদেশের প্রথম শিরোপা জয়ের সিরিজ ফাইনালে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা ব্যাটটি নিলামে তুলেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। বাংলাদেশের বিশ্বজয়ী যুব অধিনায়ক আকবর আলী নিলামে তুলেছেন বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলা জার্সি ও ব্যাটিং গ্লাভস।
ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ৮১ রানের ইনিংস খেলা ব্যাটটি নিলামে তুলেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নাঈম শেখ। এ ছাড়া মাশরাফি বিন মুর্তজার স্বাক্ষরিত একটি ক্যাপ ও ২০১১ বিশ্বকাপে খেলা ক্রিকেটারদের স্বাক্ষরিত একটি ব্যাট নিলামে তুলেছেন ক্রিকেট স্মারক সংগ্রহে রাখা ক্রিকেটভক্ত মোহাম্মদ জসিম।
মোসাদ্দেকের ব্যাটের দাম এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ১ হাজার ২ টাকা উঠেছে। আকবর আলীর জার্সি ও গ্লাভসের দাম উঠেছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। জার্সি ও গ্লাভসের ভিত্তি মূল্য ছিল ১ লাখ টাকা।
মাশরাফির ক্যাপের ভিত্তি মূল্য ছিল ১ লাখ টাকা। দাম উঠেছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। নাঈম শেখের ব্যাটের ভিত্তি মূল্যও ছিল ১ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত দাম উঠেছে ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের স্বাক্ষরিত ব্যাটের দাম উঠেছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।