জিম্বাবুয়ে যাচ্ছেন নাঈম ও এবাদত
জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে সিরিজিও ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের। একে তো ম্যাচ হার, তার ওপর চলছে ইনজুরির ছোবল। আঙুলের চোটে তৃতীয় টি-টোয়েন্টির আগে ছিটকে যান নুরুল হাসান সোহান। প্রথম ওয়ানডেতে হ্যামস্ট্রিং চোটে সিরিজ শেষ হয়ে গেছে লিটন কুমার দাসের। এ দুজনের জায়গায় বাঁহাতি ওপেনার নাঈম শেখ ও পেসার এবাদত হোসেনকে দলে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার এক বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দলের সঙ্গে যোগ দিতে আজই রওনা দেবেন নাঈম ও এবাদত। তারা দুজন দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে জিম্বাবুয়ে গিয়ে পৌঁছাবেন।
বিকল্প হিসেবে যে দুজনকে জিম্বাবুয়ে পাঠানো হচ্ছে, তারা কেউই ওয়ানডে দলের নিয়মিত সদস্য নন। নাঈমকে মূলত টি-টোয়েন্টিতে বিবেচনা করা হয়। ২০১৯ সালে জাতীয় দলে যাত্রা শুরু করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৩৪টি টি-টোয়েন্টি খেললেও ওয়ানডে খেলেছেন মাত্র ২টি। যার সর্বশেষটি খেলেছেন গত বছরের মে মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
এবাদতের ক্ষেত্রেও তাই, ডানহাতি এই পেসারকে কেবল টেস্টেই বিবেচনা করা হয়। কয়েকবার ডাক পড়লেও এখনও ওয়ানডে অভিষেক হয়নি তার। বাংলাদেশের হয়ে ১৭টি টেস্ট খেলেছেন এবাদত। জিম্বাবুয়েতে দলের সঙ্গে আছেন ওয়ানডের তিন নিয়মিত সদস্য তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান। এ ছাড়া হাসান মাহমুদকেও রাখা হয়েছে। এরপরও এবাদত হোসেনকে দলে যুক্ত করা হলো।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে কিপিং করার সময় বাঁ হাতের তর্জনীতে চোট পান সোহান। দেড় বছর পর জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নামা ডানহাতি তরুণ পেসার হাসান মাহমুদের বলে কিপিং করার সময় চোট পান তিনি। পরে তার আঙুল এক্স-রে করা হয়, রিপোর্টে চিড় ধরা পড়ে। চোট কাটিয়ে উঠতে তিন সপ্তাহ সময় লাগবে সোহানের।
প্রথম ওয়ানডেতে দারুণ ব্যাটিং করা লিটনকে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয়। রান নিতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান ৮৯ বলে ৮১ রান করা ডানহাতি এই ওপেনার। রান সম্পূর্ণ করার শেষ মুহূর্তে গিয়ে টান পড়ে তার বাঁ পায়ে। উইকেট থেকে একটু দূরে গিয়েই শুয়ে পড়েন তিনি। স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়ার সময় ব্যথায় কাতড়াতে দেখা যায় লিটনকে।