বাংলাদেশকে মাঝারি লক্ষ্য দিলো ইংলিশরা
যেভাবে শুরু করেছিল ইংল্যান্ড, মনে হয়েছিল রান চাপায় পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ইংলিশদের উদ্বোধনী জুটিই ভাঙতে পারছিলেন না বাংলাদেশের বোলাররা। এই জুটি ভেঙে ব্রেক থ্রু এনে দিলেন নাসুম আহমেদ। পরে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ইংলিশদের চেপে ধরলেন সাকিব আল হাসান, হাসান মাহমুদরা। তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমানও রাখলেন অবদান। তাতে ফিল সল্ট, অধিনায়ক জস বাটলার দারুণ ব্যাটিং করার পরও বড় সংগ্রহ পেলো না ইংল্যান্ড।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন বাটলার। সল্ট চল্লিশ ছুঁইছুঁই ইনিংস খেলেন। মারকুটে ব্যাটিং শুরু করলেও ইনিংস বড় করার সুযোগ পাননি বেন ডাকেট। এই তিনজনই রানের দেখা পান, ব্যাটিং করা ইংল্যান্ডের বাকি পাঁচ ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ইংলিশ ওপেনার সল্ট ও বাটলার। ১০ ওভারে ৮০ রানের জুটি গড়েন তারা। দশম ওভারের শেষ বলে সল্টকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন নাসুম। ফেরার আগে ৩৫ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৮ রান করেন ডানহাতি এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান।
এরপর দ্রুতই ফেরেন ডেভিড মালান, এতে রান তোলার গতি কমে আসে। এরপর ডাকেটের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়েন ইংল্যান্ডের ইনিংসকে ঠিক পথে রাখা বাটলার। ১৩৫ রানে গিয়ে ভাঙে এই জুটি, ডাকেটের স্টাম্প উপড়ে নেন মুস্তাফিজ। উইকেটে গিয়েই ঝড় তোলা ডাকেট ১৩ বলে ৩টি চারে ২০ রান করে আউট হন। পরের বলে ফিরে যান বাটলারও।
হাসান মাহমুদের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৪২ বলে ৪টি করে চার ও ছক্কায় ইনিংস সেরা ৬৭ রান করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। তার বিদায়ের পর অন্যরা সেভাবে আর রান তুলতে পারেননি। মঈন আলী ৮*, স্যাম কারান ৬, ক্রিস ওকস ১ ও ক্রিস জর্ডান ৫* রান করেন। হাসান সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান নাসুম, তাসকিন, মুস্তাফিজ ও সাকিব। বাংলাদেশের এই পাঁচ বোলারই বল করেছেন।