নিউক্যাসলে যাচ্ছেন নেইমার!
২০১৭ সালে দলবদলে দামের রেকর্ড গড়ে নেইমারকে কিনেছিল পিএসজি। নেইমারের ওপর যে প্রত্যাশা, সেটি পূরণ না হওয়ায় পিএসজি কর্তৃপক্ষ নাকি খুশি নয়। গত কয়েক মৌসুম ধরে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপাকে পাখির চোখ করলেও এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত সেই সাফল্য ধরা দেয়নি।
শুধু ক্লাবই নয়, তাকে নিয়ে অখুশি সমর্থকরাও। কদিন আগে নেইমারের ক্লাব ছাড়ার দাবিতে তার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেছেন পিএসজি সমর্থকরা। সবকিছু মিলিয়ে নেইমার নিজেও নাকি বিরক্ত। যে কারণে আগামী দলবদলে নতুন ক্লাবের সন্ধানে আছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। যদিও পিএসজির সঙ্গে তার বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত।
এদিকে নেইমারকে কিনতে চায় নিউক্যাসল ইউনাইটেড, এমন গুঞ্জন অনেক দিন থেকেই উঠেছে। কিছুদিন আগে নতুন করে গুঞ্জন ওঠে, নেইমারেরও নাকি পিএসজি থেকে মন উঠে গেছে, প্যারিসে আর থাকার ইচ্ছা নেই।
সৌদি মালিকানাধীন হওয়ার পর থেকেই ইংল্যান্ডের পাশাপাশি ইউরোপের সেরা ক্লাবগুলোর একটি হওয়ার দিকে নজর দিয়েছে নিউক্যাসল। সেই পথে বেশ ভালোই এগোচ্ছে তারা। প্রিমিয়ার লিগে চলতি মৌসুমে ৩৬ ম্যাচ শেষে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে নিউক্যাসল।
নাটকীয় কিছু না ঘটলে সেরা চারে থেকে লিগ শেষ করে আগামী মৌসুমে ক্লাবটির চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা অনেকটাই নিশ্চিত। আর প্রাথমিক এই লক্ষ্য পূরণ হলে নতুন করে দল গোছানোয় মনোযোগ দেবে তারা।
আগামী মৌসুমে ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চকে মাথায় রেখে নিউক্যাসল নাকি এমন খেলোয়াড় আনতে চায়, যারা কিনা এসব জায়গায় পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন। যে কারণেই মূলত নেইমারকে নিয়ে ক্লাবটির এত আগ্রহ। ক্লাবটির বিশ্বাস, নেইমারকে পেলে ক্লাবের ব্র্যান্ড মূল্য বাড়ার পাশাপাশি মাঠের খেলায়ও দেখার মতো পরিবর্তন আসবে। এরই মধ্যে নিউক্যাসল নাকি নেইমারের এজেন্টের সঙ্গে কথাও বলেছে।
এখন পর্যন্ত কোনো কিছু নিশ্চিত না হলেও দৃশ্যপট সেদিকেই এগোচ্ছে। মৌসুম শেষে নেইমারকে দলে ভেড়াতে নিউক্যাসল নাকি নিজেদের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম রেলেভো এ খবর নিশ্চিত করেছে।
রেলেভো অবশ্য এও বলছে, নেইমারের সঙ্গে নিউক্যাসলের চুক্তিটা খুব সহজে হওয়ার নয়। আর্থিক শর্তে দুই পক্ষের সমঝোতায় আসা নিয়ে কিছু জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে নেইমারের উচ্চ বেতনের চাহিদা নিয়ে ভাবছে নিউক্যাসল।
রেলেভো অবশ্য বেশ জোর দিয়েই বলছে যে নেইমার যদি শেষ পর্যন্ত পিএসজি ছাড়েন, নিশ্চিতভাবেই তার গন্তব্য হবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। এর কারণ হচ্ছে এই ব্রাজিলিয়ান তারকার দাম ও বেতন। যা বড় লিগগুলোর মধ্যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো ছাড়া আর কারোর দেওয়ার আর্থিক ক্ষমতা নেই।