মোহামেডানকে হারিয়ে স্বাধীনতা কাপ চ্যাম্পিয়ন ১০ জনের বসুন্ধরা কিংস
প্রথমার্ধে লড়াই হলো সমানে সমান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পাল্টে গেল চিত্র। বসুন্ধরা কিং ১০ জনের দলে পরিণত হতেই সুযোগ কাজে লাগালো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, খুঁজে নিলো জালের ঠিকানা। দৃশ্যপট পাল্টে দিতে অবশ্য সময় নেয়নি কিংস, ১০ জন নিয়ে দারুণ লড়া দলটি কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফেরে সমতায়। পরে আবারও মোহামেডানের জালে বল পাঠিয়ে চ্যাম্পিয়নের মুকুট জেতে তারা।
সোমবার গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে মোহামেডানকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো আসরটির শিরোপা জিতলো তারা, যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের রেকর্ড। মোহামেডানও স্বাধীনতা কাপের তিনবারের চ্যাম্পিয়ন।
৯ বছর পর ফাইনালে উঠে সংখ্যাটা এবার চার করার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল তারা, কিন্তু ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির অপেক্ষা ফুরালো না। ফিরে পাওয়া হলো না শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোল করে মোহামেডানকে এগিয়ে নেন এমানুয়েল সানডে। কিছুক্ষণ পরই কিংসকে সমতায় ফেরান রাকিব হোসেন। শেষ দিকে দোরিয়েলতন গোমেস নাসিমেন্তোর গোলে বিজয় নিশান ওড়ায় কিংস।
শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে কিংস। চতুর্থ মিনিটেই সুযোগ তৈরি করে তারা। বক্সের ভেতরে বল নিয়ন্ত্রণে নিলেও ভারসাম্য ধরে রেখে ঠিকভাবে শট নিতে পারেননি কিংসের রফিকুল ইসলাম। তার নেওয়া দূর্বল শট পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ১৪তম মিনিটে বক্সের বেশ বাইরে থেকে জোরালো শট নেন রবিনিয়ো, গোলরক্ষকের কল্যাণে এ যাত্রায় রক্ষা পায় মোহামেডান।
শুরুর গতি থাকেনি বেশি সময়, দুই দলই আস্তে ধীরে খেলতে থাকে। ৩৬তম মিনিটে গিয়ে ভালো একটি সুযোগ পায় কিংস। যদিও সোহেল রানার দারুণ ক্রসে দোরিয়েলতন গোমেস নাসিমেন্তোর হেড জালে জড়ায়নি, সহজেই সামলে নেন মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন চৌধুরী। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ১০ জনের দলে পরিণত হয় কিংস। বলের নিয়ন্ত্রণে নিতে গিয়ে মোহামেডানের ওমর ফারুক বাবুকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন রফিকুল।
কয়েক মিনিট পরই পিছিয়ে পড়ে কিংস। মোজাফ্ফর মোজাফ্ফরভের কর্নার কিক থেকে দারুণ হেডে জাল খুঁজে নেন নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার এমানুয়েল সানডে। সমতা টানতে দেরি করেনি কিংস। দুই মিনিট পরই বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে গোল করে কিংসকে সমতায় ফেরান রাকি। ৮৬তম মিনিটে এগিয়ে যায় কিংস। দামাশেনোর থ্রু পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান দোরিয়েলতন।