বিসিবির ইংরেজি পরীক্ষায় বেশিরভাগ আম্পায়ারের ফল অসন্তোষজনক
বর্তমান বিশ্বে নিজেকে মেলে ধরতে ইংরেজি ভাষা জানা জরুরি। যেকোনো কর্মক্ষেত্রেই ইংরেজি ভাষা ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা দিনদিন বাড়ছেই। খেলাধুলাতে সেটি আরো বেশিই প্রয়োজন, স্বদেশী কোনো খেলোয়াড় ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম ইংরেজি ভাষা। ক্রিকেটও এর বাইরে নয়।
আর তাই ইংরেজি ভাষায় বাংলাদেশের আম্পায়ারদের দক্ষ করে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে ৭০ জন আম্পায়ারের ইংরেজি দক্ষতা যাচাই করেছে বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটি। সেখানে ৬১ জনই হয়েছেন 'অকৃতকার্য।'
রাইটিং, স্পিকিং এবং রিডিং- এই তিন বিভাগে আলাদা আলাদা পরীক্ষা হয়। তিনটি পরীক্ষার নাম্বার যোগ করে ৭০ জন আম্পায়ারকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির সঙ্গে কথা বলে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে।
তিনটি বিভাগেই দক্ষতা প্রমাণ করেছেন নয়জন আম্পায়ার। তারা আছেন প্রফিসিয়েন্ট অর্থাৎ দক্ষ ইউজার ক্যাটাগরিতে। ৬০ নাম্বারের পরীক্ষায় ৪০ এর বেশি পেয়েছেন দশজন আম্পায়ার, যাদের মধ্যে আছেন তিনজন নারী আম্পায়ার।
২২ জন স্থান পেয়েছেন ডেভলপিং অর্থাৎ ক্রমান্বয়ে উন্নতি করা ইউজার ক্যাটাগরিতে। ৩৯ জনের জায়গা হয়েছে বেসিজ ইউজার অর্থাৎ একেবারেই কাজ চালানোর মতো ক্যাটাগরিতে। যার মানে দাঁড়ায়, প্রথম নয়জন বাদে বাকি ৬১ জনই এখনো মাঠ পর্যায়ে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করার মতো পারদর্শী নন।
বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'এই পরীক্ষা নেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো আম্পায়ারদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা। যেমন এ প্লাস, এ, বি প্লাস। আমাদের তো সৈকত ছাড়া এ প্লাস ক্যাটাগরির কেউ নাই।'
আম্পায়ারদের ইংরেজি ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তিও করেছে বিসিবি। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কোর্সের মাধ্যমেই আম্পায়াররা ইংরেজি ভাষায় আরো পারদর্শী হয়ে উঠতে পারবেন, 'আমরা ইতোমধ্যে একটা চুক্তি করেছি। তারা নানাভাবে পরীক্ষা নেবে আম্পায়ারদের। তবে অনেকে পরীক্ষা দিতে আসে নাই। যারা দিয়েছে তাদের মধ্যে কে কেমন সেটা নিয়ে আমাদেরও একটা ধারণা হয়েছে।'
আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান আরো জানিয়েছেন, আইসিসির অধীনে একটি ফাউন্ডেশন কোর্স করতে হবে আম্পায়ারদের। সেখানে এক ঘণ্টার একটি পরীক্ষা নেওয়া হবে। পাশ করার পর আইসিসির লেভেল ওয়ান এবং লেভেল টু আম্পায়ারিং কোর্সের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন আম্পায়াররা, 'আমরা আইসিসির সঙ্গে বড় প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। ফাউন্ডেশন কোর্স হবে। এরপর ধাপে ধাপে লেভেল ওয়ান এবং লেভেল টু কোর্স করানো হবে।'