ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর বৃষ্টির দাপট, হারল বাংলাদেশ
দ্বিতীয় ওভারে উইকেট গেলেও চাপ সামলে ঠিক পথ খুঁজে নেয় বাংলাদেশ। মুর্শিদা খাতুন ও সোবহানা মুস্তারীর ব্যাটে এগোতে থাকে স্বাগতিকরা। ৬০ পেরিয়ে আবারও ছন্দপতন, এবার ৬ রানেই গেল ৩ উইকেট। এরপরও খেই হারালেন না মুর্শিদা, সঙ্গে পেলেন রিতু মনিকে; দুজনে গড়লেন ৩২ রানের জুটি। তাদের ব্যাটে বাংলাদেশ যখন লড়াকু সংগ্রহের আশায়, তখনই সব ওলট-পালট। এই জুটি ভাঙার পর ১৮ রান তুলতেই ইনিংস শেষ নিগার সুলতানা জ্যোতির দলের।
স্বস্তিতে থাকার মতো পুঁজি ছিল না, এর মধ্যে আবার বৃষ্টির হানা। ভারতের মেয়েরা হিসাব মতোই রানটা বাড়িয়ে নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টির পর খেলা আর মাঠে গড়ায়নি, ভারত ততোক্ষণে বেশ এগিয়ে। তাই বৃষ্টি আইনে শেষ হাসি উঠেছে হারমানপ্রিত কৌরদের মুখেই।
মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন পদ্ধতিতে ভারতের বিপক্ষে ১৯ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেল ভারত, আগামী ২ মে অনুষ্ঠেয় ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য হয়ে উঠলো টিকে থাকার লড়াই। পরের দুটি টি-টোয়েন্টি ৬ ও ৯ মে সিলেটেই অনুষ্ঠিত হবে।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। লড়াকু সংগ্রহের সম্ভাবনা জাগালেও দুবার খেই হারানোয় সেটা সম্ভব হয়নি। মুর্শিদার চল্লিশোর্ধ্ব এবং সোবহানা ও রিতু মনির ছোট ইনিংসে ২০ ওভারে ১১৯ অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে শেষ হওয়া ৫.২ ওভারে ম্যাচসেরা দায়ালান হেমলতার ব্যাটিং ঝড়ে এগিয়ে থাকে ভারত, বৃষ্টিতে খেলা না হলেও জয়ী দল হয় তারাই।
লক্ষ্য তাড়ায় আবহাওয়ার ব্যাপারটি মাথায় রাখে ভারত। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারানোর পরও দাপুটে ব্যাটিং করতে থাকেন হেমলতা, তাকে সঙ্গ দিয়ে যান স্মৃতি মান্ধানা। হেমলতার তাণ্ডবে ৫.২ ওভারে ৪৭ রান তোলে ভারত। এরপর বৃষ্টি ভাগড়ায় আর খেলা হয়নি, মাঠের বাইরে থেকেই জয় উদযাপন করে সফরকারীরা। হেমলতা ২৪ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪১ রানের খুনে ইনিংস খেলেন। মান্ধানা ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ভারতের যাওয়া একমাত্র উইকেটটি নেন মারুফা আক্তার।
এর আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশের ইনিংসে কেবল চারজন দুই অঙ্কের রান করেন। ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে শেষ ওভারে আউট হওয়া মুর্শিদা ৪৯ বলে ৫টি চারে ৪৬ রান করেন। ১৫ বলে ৪টি চারে ১৯ রান করেন মোস্তারী। ১৮ বলে ২টি চারে ২০ রানের ইনিংস খেলেন রিতু মনি, এ ছাড়া ১০ রান করেন ওপেনার দিলারা আক্তার। ভারতের রাধা যাদব ৩টি এবং দিপ্তী শর্মা ও শ্রেয়াঙ্কা পাতিল ২টি করে উইকেট পান।