মুস্তাফিজের রেকর্ড বোলিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অল্প রানে আটকালো বাংলাদেশ
প্রথম দুই হারে খোয়া গেছে সিরিজ, শেষ ম্যাচটি অস্তিস্ত্বের লড়াই। আইসিসির সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার এড়ানোর মিশন। সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় এই ম্যাচে প্রতিপক্ষরা নির্ভার থাকলো, বিশ্রাম দিলো নিয়মিত অধিনায়ক, ওপেনার, অলরাউন্ডারসহ গুরুত্বপূর্ণ চারজনকে। তাতে হয়তো বল হাতে কাজটা সহজ হলো, দেশের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজুর রহমানের করা রেকর্ড বোলিংয়ে স্বাগতিকদের বাধা গেল অল্প রানেই।
শনিবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি টেক্সাসের হিউস্টনে প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা যুক্তরাষ্ট্র ৯ উইকেটে ১০৪ রান তুলেছে। মুস্তাফিজের আগুনে বোলিংয়ের মুখে দলটির কোনো ব্যাটসম্যান ৩০ রানের গণ্ডি পেরোতে পারেনি। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে মরিয়া বাংলাদেশের পক্ষে এই রান পাড়ি দেওয়া কঠিন হওয়ার কথা নয়। তবু শঙ্কা থেকে যাচ্ছে তাদের প্রথম দুই ম্যাচের পারফরম্যান্সের কারণে।
এই ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্রাম দিয়েছে অধিনায়ক মোনান্ক প্যাটেল, ওপেনার স্টিভেন টেইলর, অলরাউন্ডার হারমিত সিং ও পেসার আলী খানকে। প্রথম টি-টোয়েন্টি তাদের জয়ের নায়ক ছিলেন হারমিত। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স করেন আলী খান। দুই নায়ককে ছাড়াই আজ তারা মাঠে নামে। এ ছাড়াও দুজন খেলোয়াড়ের হয়েছে অভিষেক। সব মিলিয়ে নির্ভার যুক্তরাষ্ট্র বড় দলের মতো করেই আজ সিদ্ধান্ত নেয়।
চূড়ান্ত স্কোর দেখে বোঝার উপায় নেই যুক্তরাষ্ট্রের শুরুটা কেমন ছিল। ১০৪ রানে গুটিয়ে যাওয়া দলটিই উদ্বোধনী জুটিতে ৫ ওভারে ৪৬ রান তোলে। দলকে বড় শুরুর ভিতই গড়ে দেন দুই ওপেনার অ্যান্ড্রিস গাউস ও অভিষিক্ত শায়ান জাহাঙ্গীর। গাউস ১৫ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ইনিংস সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন। তানজিম হাসান সাকিবের ওভারে টানা তিনটি চারসহ মোট চারটি চার মারেন তিনি।
গাউসকে ফিরিয়ে ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৭০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছান সাকিব। উদ্বোধনী জুটি ভাঙতেই দিক হারায় যুক্তরাষ্ট্র। পরের ওভারে জাহাঙ্গীরকে ফেরান ৬ উইকেট নিয়ে নিজের ও দেশের পক্ষে সেরা বোলিং করা মুস্তাফিজ। এরপর তানজিম সাকিব ও রিশাদ হোসেন একটি করে উইকেট নেন, উইকেট বৃষ্টি নামানো মুস্তাফিজ বাকি ৫ উইকেট শিকার করেন।
দুই ওপেনারের পর কেবল কোরি এন্ডারসন ও শ্যাডলে ভ্যান শাল্কভিক কিছুটা সময় লড়েন। এন্ডারসন ১৮ ও শ্যাডলে ১২ রান করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইনিংসে ব্যাটিং করা ১০ ব্যাটসম্যানের ৬ জনই দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। স্বাগতিকদের দিক ভুলিয়ে দেওয়া মুস্তাফিজ ৪ ওভারে মাত্র ১০ রানে ৬ উইকেট নেন। যা তার ক্যারিয়ার সেরা, দেশের পক্ষেও সেরা। আগের সেরা বোলিংও তারই ছিল। মুস্তাফিজের বোলিং ফিগারটি টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে অষ্টম সেরা বোলিং। সাকিব, তানজিম ও রিশাদ একটি করে উইকেট নেন।