পাঁচ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ সোহেলি আক্তার
![](https://tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/11/soheli_1.jpg)
বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার সোহেলি আক্তারকে পাঁচ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। আইসিসির দুর্নীতি-দমন ধারার পাঁচটি বিধি লঙ্ঘনের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে তাঁর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর ধরা হয়েছে।
২০২৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের এক ক্রিকেটারকে মুঠোফোনে ফিক্সিংয়ের বার্তা পাঠিয়ে বড় অঙ্কের টাকার লোভ দেখান সোহেলি। তবে ওই ক্রিকেটার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে বিষয়টি আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশনকে জানান।
সোহেলি বাংলাদেশের হয়ে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন ২০২২ সালে। জাতীয় দলের হয়ে ১৩টি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ডানহাতি এই অফ স্পিনার। ৯ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দুই ফরম্যাট মিলিয়ে ১১টি উইকেট নিয়েছেন সোহলি।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া এই ক্রিকেটার যেসব ধারা লঙ্ঘনের কথা স্বীকার করেছেন, তার মধ্যে রয়েছে ধারা ২.১.১; ম্যাচ ফিক্সিং বা খেলার ফলাফল, অগ্রগতি, আচরণ বা অন্য যেকোনো দিক অনৈতিকভাবে প্রভাবিত করা বা এর সঙ্গে যুক্ত থাকা, যার মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ পারফরম্যান্স করাও অন্তর্ভুক্ত। ধারা ২.১.৪; অন্য কোনো ক্রিকেটারকে এসব দুর্নীতির কাজে উৎসাহিত করা, প্ররোচিত করা বা সহায়তা করা।
ধারা ২.৪.৪; আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে (এসিইউ) ফিক্সিংয়েরে প্রস্তাব পাওয়া বা আমন্ত্রণের তথ্য জানাতে ব্যর্থ হওয়া। ধারা ২.৪.৭; তদন্তে বাধা দেওয়া বা বিলম্ব ঘটানো, যার মধ্যে প্রাসঙ্গিক নথিপত্র গোপন করা, বিকৃত করা বা ধ্বংস করাও অন্তর্ভুক্ত।
দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ চলাকালীন জাতীয় দলের বাইরে থাকা সোহেলি বিশ্বকাপ স্কোয়াডের এক নারী ক্রিকেটারকে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন। জাতীয় দলের ওই ক্রিকেটার দ্রুততার সঙ্গে বিষয়টি টিম ম্যানেজমেন্টকে জানান। এরপর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ঘটনাটি আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে অবহিত করে। দুই বছর ধরে তদন্ত শেষে সোহেলিকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিলো আইসিসি।