‘বাংলাদেশের ফিল্ডিং বিভাগকে দশে পাঁচ-ছয় দিব’
দলে ভূমিকা ছিল ব্যাটসম্যানের, কিন্তু মেতে থাকতেন ফিল্ডিং নিয়ে। বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমেও আলোচনায় ছিলেন রাজিন সালেহ। বদলি ফিল্ডার হিসেবে মাঠে নেমে নেন দুটি দারুণ ক্যাচ। তার তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন শচিন টেন্ডুলকার ও মুরালি কার্তিক।
ফিল্ডিংয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হলেও একাদশে সুযোগ পেতে আরও সময় লেগে যায় রাজিনের। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ দলে অভিষেক হওয়া সাবেক এই ক্রিকেটার পাঁচ বছরে খেলেন ২৪ টেস্ট ও ৪৩ ওয়ানডে। এই সময়ে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও নজর কাড়েন তিনি।
ফিল্ডিং নিয়ে নিজের ভালোবাসার কথা বহুবার বলেছেন রাজিন। সেই ভালোবাসার জায়গাতে বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। আফগানিস্তান সিরিজে জাতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রাজিন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও তাকে পছন্দ ছিল বিসিবির, কিন্তু প্রিমিয়ার লিগের দল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের প্রধান কোচের দায়িত্বে থাকায় যাওয়া হচ্ছে না তার।
এতে আফসোস আছে, তবে জাতীয় দলে ফিল্ডিং নিয়ে কাজ করার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে বলে সেই আফসোস আর গুরুত্ব পাচ্ছে না। স্বপ্ন পূরণ, বাংলাদেশের ফিল্ডিং, ফিল্ডিং নিয়ে নিজের পরিকল্পনা, দেশসেরা ফিল্ডার, নিজের কোচিং দর্শনসহ আরও অনেক কিছু নিয়ে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন রাজিন সালেহ।
ফিল্ডিং নিয়ে আপনার বিশেষ ভালো লাগা আছে। খেলোয়াড়ী জীবন থেকেই আপনি সেটা বলে আসছেন। সেই ভালো লাগার জায়গায় জাতীয় দলে কাজ করার সুযোগ হলো, কেমন লাগছে?
এটা অবশ্যই ভালো লাগার মতো। অভিষেক টেস্টে ফিল্ডার হিসেবে আমি জনপ্রিয় হয়েছিলাম। দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে শচিন টেন্ডুলকার, মুরালি কার্তিকের ক্যাচ ধরেছিলাম। ওভাবে শুরু হয়েছিল আমার। প্রতিটা মানুষের ভালো লাগার জায়গা থাকে। ফিল্ডিং নিয়ে আমার গর্ব করার মতো জায়গা ছিল।
আমার স্বপ্ন ছিল যখন আমি কোচিং স্টাফে যাব, ব্যাটিং কোচ হিসেবে থাকব, তবে যদি কখনও বাংলাদেশ দলে যাই, ফিল্ডিং কোচ হিসেবে যেন যেতে পারি, কাজ করতে পারি। শুধু সাময়িক কাজের জন্য না, দীর্ঘ সময় নিয়ে যেন বাংলাদেশ দলে কাজ করতে পারি এবং বাংলাদেশ দলকে যেন ভালো সার্ভিস দিতে পারি, এটা আমার লক্ষ্য ছিল। এখন আমি একটা ছোট অ্যাসাইনমেন্ট পেয়েছি, এই কাজটা যেন আমি ভালোভাবে করতে পারি, সামনে এগোতে পারি এবং বাংলাদেশ দলের জন্য অনেক দিন কাজ করতে পারি।
দুই সিরিজের জন্য আপনাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, যদিও দক্ষিণ আফ্রিকায় আপনার যাওয়ার হচ্ছে না প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের প্রধান কোচ থাকার কারণে। একটা সিরিজে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন। এটা কী পরীক্ষার মতো যে, ভালো করলে দীর্ঘমেয়াদে আপনাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে?
না, এমন কোনো আলোচনা হয়নি। আমি তেমন কোনো আলোচনা করতেও চাই না। সবার আগে দেশ, দেশের হয়ে কাজ করব। কাজটা শুধু কাজ করার জন্য না, আমি যেন আমার মতো করে কাজ করতে পারি, এটা আমার চাওয়া থাকবে। আশা করি যারা খেলোয়াড়, সিনিয়ররা যারা আছে, আমাকে সাদরে গ্রহণ করবে। মুশফিক, তামিমদের সাথে আমার কথা হয়েছে। তারা সাদরে আমাকে গ্রহণ করেছে। তারা আমাকে সাহায্য-সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছে। আমার জন্য এটা অনেক সহজ হয়ে যাবে, যখন সিনিয়ররা তাদের হাত বাড়িয়ে দেবে বা আমাকে সাহায্য করবে।
ফিল্ডিং নিয়ে বাংলাদেশের হাহাকার বহু পুরনো। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর তো রায়ান কুককে আর রাখাই হলো না। এটা কি আপনার জন্য চ্যালেঞ্জ যে ভঙ্গুর দশা থেকে দলের একটি বিভাগকে টেনে তুলতে হবে?
এখন যেহেতু সিরিজ শুরু হচ্ছে, খেলার মধ্যে আমি সেভাবে তেমন কিছু শেখাতে পারব না। সেভাবে কাজ করা যাবে না, সময় পাওয়া যাবে না। এটা যদি আমাকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হয়, বলতে পারেন চ্যালেঞ্জ। তবে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিই না। আমি মনে করি, এই সময়ের মধ্যে আমি যদি সবার সাথে আলাদাভাবে কাজ করতে পারি, তাদের যে ঘাটতি আছে, সেগুলো কিছু যদি শুধরাতে পারি, তাহলে এটা আমার জন্য অনেকটা পাওয়া হবে। চ্যালেঞ্জ তখনই নেওয়া হবে, যখন আমাকে দীর্ঘমেয়াদে বোর্ড নেবে। তখন আমার জন্য এটা চ্যালেঞ্জ হবে, কারণ আমাকে পারফর্ম করতে হবে, কোচ হিসেবে আমাকে পারফর্ম করতে হবে। এখন ছোট অ্যাসাইনমেন্ট আছে, আমি যেন আমার মতো করে করতে পারি, সামনে এগোতে পারি।
বর্তমানে বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিংয়ের অবস্থা দেখে কী মনে হয়?
বাংলাদেশ দলে এখন যারা তরুণ আছে, তারা অবশ্যই ফিট। তবে বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ের বর্তমান যে অবস্থা, আমি বলব না দশে দশ। বাংলাদেশের ফিল্ডিং বিভাগকে আমি দশে পাঁচ-ছয় দিব। তরুণরা বেশ ভালো ফিল্ডার। আশা করব আমার সঙ্গে যদি কাজ করে, তারা এগিয়ে যাবে।
ফিল্ডিংয়ে পরিবর্তন আনার ব্যাপারে আপনি কতোটা আশাবাদী?
দুই সিরিজে কাজ করে আমি পরিবর্তন করে ফেলব, এটা বলা ভুল হবে। আমি পারব না। কারণ এটা খুব কম সময় আমার জন্য। এটা ছোট একটা কাজ। খেলোয়াড়দের সাথে আলাদাভাবে বসে ভুল শোধরানোর চেষ্টা থাকবে। তবে যদি আমি দীর্ঘমেয়াদে কাজ করি, আমি আশাবাদী যে বাংলাদেশ দলের যে ঘাটতি আছে, সেসব আমি পূরণ করতে পারব।
বর্তমান দলের কাদের ফিল্ডিং আপ টু দ্য মার্ক বলে মনে হয়?
আফিফ হোসেন ধ্রুব, নাজমুল হোসেন শান্ত ভালো ফিল্ডিং করে। শামীম হোসেন পাটোয়ারী অবশ্যই ভালো ফিল্ডার, অনেক ক্ষীপ্র গতি ফিল্ডার। দলে যারা তরুণ আছে, সবাই এখন ভালো ফিল্ডিং করে গড়ে।
আপ টু দ্য মার্কে নেই, এমন কারও কথা উল্লেখ করতে পারেন?
এমন কেউ আছে বলে মনে হয় না। জাতীয় দলে সেরাদেরকেই নেওয়া হয়, নাহলে তো সুযোগ পাওয়া যায় না।
বাংলাদেশের সেরা ফিল্ডার বেছে নিতে বলা হলে কার নাম বলবেন?
এই মুহূর্তে আফিফ ও শামীম বাংলাদেশ দলের সেরা ফিল্ডার বলে মনে হয়। দুজনের কথাই বলব আমি।
ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করতে কোন বিষয়ে জোর দেওয়া প্রয়োজন? ফিটনেস, মনোযোগ নাকি বিশেষ কোনো কৌশল?
ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করতে অবশ্যই আপনার আগে ফিটনেস লাগবে। এরপর কৌশল লাগবে, এর মধ্যে কিছু কিছু কৌশল আছে, যা খুব জরুরি। এটা আবার ফিটনেসেরই অংশ। হিসেব করে কৌশলমাফিক কাজ করলে উন্নতি হবে।
আপনি যখন খেলতেন, আপনাকে অ্যাক্রোবেটিকভাবে দেখা গেছে। ডাক করতে গিয়ে পুরো ভাজ হয়ে গিয়েছিলেন, আপনি পড়ে যাননি। সেখান থেকে উঠে দাঁড়ান। ধারাভাষ্যকার প্রশংসা করেছিলেন। ওই যে ভারসাম্য, সেটা কীভাবে সম্ভব করে তুলেছিলেন?
ফিটনেসের কারণে সেটা সম্ভব হয়েছিল। আমি বলব এটা সাধনা। আমার একটা সাধনা ছিল যে আমি এমন একটা জায়গায় যাব। এর জন্য আমি ফিটনেসসহ অনেক সাধনা করেছি। সাধনা করাটা খুব জরুরি। এটার কারণেই আমি এগিয়ে ছিলাম।
জন্টি রোডসের সঙ্গে কখনও ফিল্ডিং নিয়ে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল? জন্টিসহ আর কাউকে সে সময় অনুসরণ করতেন?
না, ওই সময় আমি যখন খেলি, তখন জন্টি রোডস খেলা ছেড়ে দিয়েছেন। কখনও কথা হয়নি, তবে আমি জন্টি রোডসকেই অনুসরণ করতাম। ও আমার স্বপ্নের নায়ক ছিল। কাল্পনিকভাবে আমি ওভাবেই ফিল্ডিং সাজাতাম। মনে আছে বৃষ্টিতে কাঁদার মাঠ, যেখানে ফুটবল খেলা হতো, ওই কাঁদার মাঠে আমি আর তাপশ বৈশ্য মারুতি বল নিয়ে ডাইভ দেওয়া অনুশীলন করতাম। গোলপোস্টে গিয়ে আমি ওকে বলতাম, 'বন্ধু এই পাশে দিও, দেখি আমি ধরতে পারি কিনা।' সবার এমন নিবেদিত হতে হয়। আমি যেমন ফিল্ডিং নিয়ে ছিলাম।
খেলোয়াড়ী জীবনে ব্যাটিং নাকি ফিল্ডিং; কোনটা বেশি উপভোগ করতেন?
অবশ্যই আমি ফিল্ডিং বেশি উপভোগ করতাম। ব্যাটিং তো ছিলই, কিন্তু ফিল্ডিং করাটা সবচেয়ে উপভোগ করতাম।
আপনার খেলোয়াড়ী জীবনের ব্যাপারগুলো বাংলাদেশ দলে কোচিং করানোর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে চাইবেন কিনা?
যদি আমি লম্বা সময় পাই, তাহলে করার চেষ্টা করব। এখন ওই কাজগুলো করার সময় কম পাব। কারণ যখন সিরিজ শুরু হযে যায়, ম্যাচের মধ্যে থাকে ক্রিকেটাররা, তখন এসব কাজ করা কঠিন হয়ে যায়। যখন আমি লম্বা সময় পাব, তখন আমি এসব প্রয়োগ করব, তাদের সাথে শেয়ার করব। আমি আশা করি তারা যদি এসব গ্রহণ করে, বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ের যে ঘাটতি, একটা সময়ে তা পূরণ হয়ে যাবে।
ফিল্ডিং কোচ হিসেবে কাজ করতে বিশেষ কোনো কোর্স করেছেন?
না, আমি লেভেল টু পাস করেছি ইংল্যান্ডে। ফিল্ডিং নিয়ে আমি অনেক জায়গায় অনেক কাজ করেছি। খেলোয়াড়ী জীবনের পর আমি যখন ক্যাম্পে যেতাম, ফিল্ডিং নিয়ে বেশি বেশি কাজ করতাম। এটা খেলোয়াড়ী জীবনে ছিল, এখনও আছে। আমি কোচিংটাকে ভালোবাসি। আমার প্রথম পছন্দ ফিল্ডিং। অবশ্যই আমার ব্যাটিং কোচ হওয়ার ইচ্ছা আছে জুনিয়র লেভেলে বা বাংলাদেশ টাইগার্সে কাজ করার জন্য। আমি জুনিয়র পর্যায়ে অনেক কাজ করেছি ফিল্ডিং নিয়ে। আমি খেলা ছাড়ার পর ক্লেমনে সারা দেশে অনেক কাজ করতাম। পাইলট ভাই নিয়ে যেতে।
সুজন ভাই আমাকে বলতেন, 'তুই ফিল্ডিং কোচের দিকে আগা।' উনি আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করতেন। আমি কুমিল্লা, নোয়াখালিতে ক্যাম্প করতে গেছি। আমাদের ব্যাটিং, ফিল্ডিং স্পেশালিস্ট হিসেবে নেওয়া হতো। এরপর জাতীয় লিগে চলে এলাম। জাতীয় লিগে ১৯ বছর পর সিলেট বিভাগ চ্যাম্পিয়ন হলো, এটা আমার দল, আমি তখন কোচিংয়ে ঢুকলাম। বিপিএলে আমি কাজ করেছি, বিসিএলে করেছি। প্রিমিয়ার লিগে তিন বছর ধরে করছি। এটা আমার অভিজ্ঞতা, এসব আমাকে অনেক সাহস ও আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছে। আমি সব সময় আমার কাজগুলো ডায়েরিতে টুকে রাখতাম, সেগুলো আমি প্রয়োগ করব। ক্রিকেট এখন অনেক আধুনিক হয়েছে, এসবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রয়োগ করার চেষ্টা করব।
বর্তমান সময়ের নামি ফিল্ডিং কোচদের সঙ্গে কখনও আলোচনা করেছেন কিংবা পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ হয়েছে?
জন্টি রোডসের অনেক কিছু আমি অনুসরণ করি। চেষ্টা করি উনার কোচিংয়ের আদর্শ নিতে। বাংলাদেশের সোহেল ভাই আছেন, অনেক সিনিয়র। উনার সঙ্গে আলোচনা করেছি। উনি অনেক কিছু জানেন, উনি অনেক কিছু শেয়ার করতে চান। যার কাছে ভালো কিছু পাব, সেটা নিয়ে আমি কাজ করার চেষ্টা করব।
আপনি সহকারী কোচ, প্রধান কোচ হিসেকে গত কয়েক বছর ধরে কাজ করে আসছেন। এ সময়ে ফিল্ডিং কোচ হিসেবে কতোটা কাজ করতে পেরেছেন?
সব সময়। আমি যখন জাতীয় লিগে কাজ করি, আমি প্রধান কোচ থাকি। কিন্তু ফিল্ডিং আমার একটা বিষয় থাকেই। জাতীয় লিগের অন্যান্য দলও দেখেছে যে আমি ফিল্ডিং নিয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করেছি।
আপনার কোচিংয়ের বিশেষ দিক হবে কোনটি, কোন জায়গাটা নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করতে চান?
এখন এসব নিয়ে বলা কঠিন। তবে আমি ৩০ গজের মধ্যের ফিল্ডিং নিয়ে কাজ করতে চাই। এখানে কীভাবে ফিল্ডিং করতে হয়, চাপের সময়ে কী করতে হয়; এসব নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা আছে। তবে খেলোয়াড়রা কী চাচ্ছে, কী করতে চায়; এসব বুঝে কাজ করতে হবে। এই সিরিজে এতো চিন্তা-ভাবনা করে কাজ করা যাবে না।
স্লিপ ফিল্ডিং বা ক্লোজ ইনে সেভাবে ফিল্ডার তৈরি হয়নি বাংলাদেশের। বিশেষ কোনো কাজ করার পরিকল্পনা আছে কিনা বা কাদেরকে এসব জায়গায় যোগ্য মনে হয়?
বাংলাদেশে সবাই মিলেমিশে ক্লোজ ইনে ফিল্ডিং করে। এখন বলতে পারব না যে অমুকই যোগ্য। যখন আমি কাজ করব, কাজ বুঝে বলা যাবে, কে পারবে। ক্লোজ ইনে মিলেমিশে করে। এখন যেমন ইয়াসির রাব্বি করছে। ও মোটামুটি ভালো আছে। তবে এসব নিয়ে কাজ করতে আরও সময় লাগবে।
আপনি স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান ছিলেন, একটা প্রজন্মের অনেকের পছন্দের ব্যাটসম্যান ছিলেন। তারা আফসোস করেন আপনি বেশি সময় ধরে খেলতে পারেননি বলে। এটা আপনার জন্যও আফসোসের কিনা?
যেটা চলে গেছে, সেটা আর আফসোস করি না। প্রথম প্রথম আফসোস করতাম হয়তো আমি টেস্টে আরও বেশি খেলতে পারতাম। হয়তো এটা আমার কপালে হয়নি, তাই আমি আর আফসোস করি না। আমি যে লম্বা সময় খেলতে পারিনি, একটা খেলোয়াড় কেন লম্বা সময় খেলতে পারে না, এই বিষয়টি নিয়ে সিলেট বিভাগে আমার কাজ করার ইচ্ছা ছিল। একজন খেলোয়াড় ঢুকে যেন অনেকে সময় খেলতে পারে, যেমন বাংলাদেশ দলে অনেকে দুই-একটা ম্যাচ খেলেই হারিয়ে যায়। কেন, এটার কারণ কী? এটার কারণ খোঁজা, এটা নিয়ে আলোচনা করা, এটা নিয়ে কাজ করা আমার লক্ষ্য।