মাঝে বাংলাদেশের লড়াই, দিনশেষে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা
টিবিএস রিপোর্ট
টস সময় মতোই হলো। কিন্তু বেলা ২টায় ম্যাচ মাঠে গড়ানোর কথা থাকলেও সেটা চলে গেল ২টা ৩৩ মিনিটে। সাইডস্ক্রিনের ঝামেলার কারণে এই বিলম্ব। ধারণা করা হয়েছিল শেষদিকে একটু বেশি খেলা হতে পারে। কিন্তু শেষটায় প্রকৃতির বাগড়া। আলোক স্বল্পতার কারণে অনেক আগেই খেলা শেষ। মাঝের সময়টায় চলেছে লড়াই। যেখানে কখনও দক্ষিণ আফ্রিকা, আবার কখনও বাংলাদেশ ছড়ি ঘুরিয়েছে। তবে দিন শেষে প্রোটিয়ারা যে এগিয়ে, সেটা বলাই যায়।
বৃহস্পতিবার ডারবানের কিংসমিড স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে সর্বসাকুল্যে ৭৬.৫ ওভার ব্যাটিং করতে পেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৩.১ ওভার বাকি থাকতেই দিনের খেলা শেষ ঘোষণা করেন আম্পায়ার। ৪ উইকেটে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ২৩৩ রান। দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে অনেকটা পথ এগিয়ে দেওয়া টেম্বা বাভুমা ১১৯ বলে ৬টি চারে ৫৩ রানে অপরাজিত আছেন। কাইল ভেরেইনা অপরাজিত আছেন ২৭ রানে।
শুরুটা দারুণ ছিল প্রোটিয়াদের। দাপুটে ব্যাটিংয়ে প্রথম সেশনটা নিজেদের করে নেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার ডিন এলগার ও সারেল আরভিয়া। ২৫ ওভারে ৯৫ রান তুলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যান তারা। দ্বিতীয় সেশনেও সাবলীল শুরু করেন তারা। বাংলাদেশের হতাশা বেড়েই চলছিল। যা থামান খালেদ আহমেদ। প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগারকে ফিরিয়ে ১১৩ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন বাংলাদেশের ডানহাতি এই পেসার।
পরের ওভারে সারেল আরভিয়াকে বিদায় করে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। খালেদের গুড লেংন্থের ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে উইকেটের পেছনে লিটন কুমার দাসের হাতে ধরা পড়েন এলগার। টেস্ট ক্যারিয়ারের ২০তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ফেরার আগে ১০১ বলে ১০টি চারে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন।
আরভিয়াকে সরাসরি পরাস্থ করেন মিরাজ। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে যান প্রোটিয়া ওপেনার। এর আগে টেস্ট মেজাজে ইনিংস এগিয়ে নেওয়া আরভিয়া ১০২ বলে ৬টি চারে ৪১ রান করেন। কিগান পিটারসেন বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৯ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান মিরাজের দারুণ এক থ্রোয়ে রান আউটের শিকার হন।
অভিষিক্ত রায়ান রিকেলটনের পথচলাও দীর্ঘ হয়নি। তৃতীয় সেশনের শুরুতেই তাকে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন এবাদত হোসেন। প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৪১ বলে ৪টি চারে ২১ রান করেন তিনি। এরপর খেলা হওয়া বাকিটা সময় কাটিয়ে দেন বাভুমা ও ভেরেইনা। পঞ্চম উইকেটে ৫৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন তারা। বাংলাদেশের খালেদ, মিরাজ ও এবাদত একটি করে উইকেট নিয়েছেন।