আম্পায়ারিং নিয়ে আইসিসিতে লিখিত অভিযোগ করবে বাংলাদেশ
ডারবান টেস্টে আম্পায়ারের বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে গেছে। রিভিউয়ের পর সাতবার সিদ্ধান্ত বদলান দুই অন-ফিল্ড দুই আম্পায়ার। 'ক্লোজ কল'-এর বেশিরভাগই বাংলাদেশের বিপক্ষে গেছে। প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংসের ৪৪তম ওভার পর্যন্ত এলবিডব্লিউর রিভিউয়ে চারটি আম্পায়ার্স কল হয়, এর তিনটিই বিপক্ষে যায় বাংলাদেশের। এ ছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের পাওয়া তিন উইকেটের দুটিই আসে রিভিউ নিয়ে।
এ ছাড়া মাঠে গালিগালাজ করে স্লেজিং করলেও আম্পায়াররা তাতে দৃষ্টিপাত করেননি। এমনকি বাংলাদেশ অভিযোগ করার পরও কোনো পদক্ষেপ নেননি মাঠে দায়িত্বরত দুই আম্পায়ার অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক ও মারাইস এরাসমাস। এ কারণে আম্পায়ারিং নিয়ে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এমনই জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়া স্লেজিং ও পুরো ম্যাচের আম্পায়ারিং নিয়ে আইসিসির কাছে অভিযোগ করার পরিকল্পনা বিসিবির। ওয়ানডে সিরিজের পর আম্পায়ারিং নিয়ে একটি অভিযোগ করে বিসিবি। এবার প্রথম টেস্টের আম্পায়ারিং নিয়েও অভিযোগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জালাল ইউনুস বলেন, 'ওয়ানডে সিরিজের পর আম্পায়ারিং নিয়ে আমরা একটি অভিযোগ করি। ম্যাচ রেফারি আমাদের ম্যানেজার নাফিস ইকবালের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন। লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর তিনি নমনীয় হন। আমরা এই টেস্ট ম্যাচ নিয়ে আরেকটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করব।'
চতুর্থ দিনের খেলা শেষে আম্পায়ারিং নিয়ে অভিযোগ করেন বিসিবি পরিচালক ও বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত বিপক্ষে না গেলে বাংলাদেশের লক্ষ্য ২৭৪ এর জায়গায় ১৮০ রান হতো বরে মনে করেন তিনি। এ ছাড়া এদিন সাকিব আল হাসান নিরপেক্ষ আম্পায়ার ফেরানোর আবহ্বান জানান।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ রানে গুটিয়ে ২২০ রানে হেরে যাওয়ার পর মুমিনুল হকও আম্পায়ারিং নিয়ে অসন্তোষের কথা জানান। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, 'স্লেজিং তো মাঠে হয়ই। স্লেজিং হবে এটা স্বাভাবিক। স্লেজিং যদি মাঝে মাঝে অ্যাবিউসের কাছে চলে যায়, তখন এটা খুব খারাপ। আমার কাছে মনে হয় মাঝে মধ্যে তারা অ্যাবিউস করছিল, খুব বাজে ভাবে। যেটা আম্পায়ারও ওভাবে ওদের খেয়াল করেনি।'