লড়াইয়ের পর ফিরলেন মুশফিক-রাব্বি, ফের বিপদে বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে দিকাহারা দলের হাল ধরেছিলেন মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলী রাব্বি। তাদের ব্যাটে ফলো অন এড়িয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। দলকে নিরাশ করেননি তারা। ১২২ রানে ৫ উইকেটে হারানো দলকে অনেকটা পথ এগিয়ে দিলেন তারা দুজন।
পথটা আরও লম্বা হতে পারতো, কিন্তু প্রচন্ড চাপে খেই হারানো রাব্বির বিদায়ে সেটা হয়নি। মুশফিকের সঙ্গে ৭০ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। কেশব মহারাজের বলে তার হাতেই ক্যাচ দেওয়া রাব্বি ৮৭ বলে ৭টি চারে ৪৬ রান করেন।
কিছুক্ষণ পর মুশফিকও ফিরে যান। টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৫তম হাফ সেঞ্চুরি তুলেই বিদায় নেন তিনি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান বলা চলে নিজের উইকেটটি বিলিয়ে এসেছেন। প্রোটিয়া স্পিনার সাইমন হার্মারের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড হন মুশফিক। এর আগে ১৩৮ বলে ৫১ রান করেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এই ব্যাটিং স্তম্ভ।
নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। মিরাজ ৯ ও তাইজুল শূন্য রানে ব্যাটিং করছেন। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগে ৭০ ওভারে ৭ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২১০ রান। ফলো-অন এড়াতে বাংলাদেশকে আরও ৪৪ রান করতে হবে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ এখনও ২৪৩ রানে পিছিয়ে।
পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জেস স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন শেষ হওয়ার আগে ৪১ ওভারে ৫ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১৩৯ রান। মুশফিকুর রহিম ৩০ ও ইয়াসির আলী রাব্বি ৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
ব্যাট হাতে বাংলাদেশের শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো। দলীয় ৩ রানেই মাহমুদুল হাসান জয়কে হারায় সফরকারীরা। যদিও এই চাপ কাটিয়ে উঠতে সময় নেননি প্রায় এক বছর পর টেস্ট খেলতে নামা তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৯ রানের জুটি গড়ে তোলেন তারা।
কিন্তু দলীয় ৮২ রানে তামিম আউট হতেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। ৩০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় তারা। এ সময় ঘাতক হয়ে দেখা দেন প্রোটিয়া ডানহাতি পেসার ভিয়ান মুল্ডার। কয়েক মুহূর্তের ব্যবধানে ৩টি উইকেট তুলে নেন তিনি। বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি ভাঙা ডুয়ানে অলিভিয়ের আরেকটি উইকেট নেন।
তামিমকে বেশ সাবলীল দেখাচ্ছিল। ওয়ানডে মেজাজে রান তুলে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু মুল্ডারের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পা দিয়ে ৪৭ রান করেই থামতে হয় তাকে। এরপর শুরু হয় উইকেট বৃষ্টি। ৩৩ রান করে থামেন শান্ত। ১৫ রান পর সাজঘরে অধিনায়ক মুমিনুল হক, ৬ রান করেন তিনি। লম্বা সময় ধরে দারুণ ছন্দে থাকা লিটন কুমার দাসও কিছু করতে পারেননি, ১১ রান করে বিদায় নেন তিনি।