চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষার দ্বিতীয় ল্যাব চালু হচ্ছে চমেকে
করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামে নতুন একটি ল্যাব প্রস্তুত করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নতুন এই ল্যাবটি চালুর জন্য সোমবার ঢাকা থেকে পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিনসহ যাবতীয় সরঞ্জাম এসে পৌঁছেছে।
বর্তমানে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের পরীক্ষা হচ্ছে শুধু ফৌজদারহাট বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে।
বিআইটিআইডি ল্যাবে দুইটি পিসিআর মেশিনে প্রতিদিন ১০০টি নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। কিন্তু চট্টগ্রামে প্রতিদিন ২০০ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাই প্রতিদিন পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নমুনা উদ্বৃত্ত থাকছে।
ল্যাবটি চমেকের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের স্থাপিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভাগের একটি কক্ষে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। তবে যন্ত্রপাতি আসলেও ঢাকা থেকে টেকনিশিয়ান না আসায় এখনো স্থাপন কাজ এখনো শুরু হয়নি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শামীম হাসান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, আমরা একটি পিসিআর মেশিন পেয়েছি। আমাদের ল্যাবটিতে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৬০টি নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা থাকবে। যন্ত্রপাতি আসলেও এখনো টেকনিশিয়ানরা আসেনি। তবে আমরা যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। আশা করছি, কয়েকদিনের মধ্যে ল্যাবটি চালু হবে।
ইতোমধ্যে করোনাভাইরাস পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক ও চমেক প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. জিল্লুর রহমান বলেন, সোমবার রাতে ঢাকা থেকে টেকনিশিয়ান টিম আসার কথা রয়েছে। তারা আসলে কাজ শুরু হয়েছে। ৩ বা ৪ দিনের মধ্যে ল্যাবটি প্রস্তুত হবে বলে আশা করছি।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, প্রতিনিয়ত চাপ বাড়ছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এই চাপ আরও বাড়তে পারে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য দ্বিতীয় ল্যাবটি চালু করা খুবই জরুরি ছিলো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনা ঠেকাতে পরীক্ষার বিকল্প নেই। কিন্তু চট্টগ্রামে চাহিদার তুলনায় পরীক্ষা কম হচ্ছে। ল্যাবটি চালু হলে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের পরীক্ষার গতি বাড়বে।