তিন স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: আদালতে দু’জনের স্বীকারোক্তি
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে তিন স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও তাদের অপর এক বান্ধবী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত দুইজন ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা জজ আদালত চত্বরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার কর্মকার অভিযুক্ত ইউসুফ আলীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। অন্যদিকে একই সময় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম অপর অভিযুক্ত বাবুল মিয়ার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
মামলায় গ্রেপ্তার আরেক অভিযুক্ত সুমন মিয়া ওরফে বাবু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দেওয়ায় তাকে সরাসরি কারাগারে পাঠানো হয়।
কোর্ট ইন্সপেক্টর তানভীর আহমেদ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার তিনজনসহ চার স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা হাসনাত এবং নওরিন মাহবুবা ২২ ধারায় তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
গত রোববার দুপুরে ঘাটাইলের একটি বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির চার ছাত্রী তাদের দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। তারা একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিয়ে উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তী সন্ধানপুর ইউনিয়নের কাতরা বন এলাকায় ঘুরতে যান। এসময় ওই এলাকার ৫/৬ জন তরুণ তাদেরকে আটকে ছাত্রীদের বন্ধুদের মারধর করে। পরে তারা তিন ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।
এছাড়া এক ছাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। পরে সোমবার দুপুরে ধর্ষণের শিকার এক ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ছাড়াও বাকিদের গ্রেপ্তারে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে।