পরীক্ষাহীন এইচএসসিতে জিপিএ-৫ মহোৎসব
মহামারীকালে পরীক্ষা ব্যতীতই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার মূল্যায়নে পাস করেছেন সবাই। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ (গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ) পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন পরীক্ষার্থী, যা গত বছরের তুলনায় তিনগুণ; এটি মোট পরীক্ষার্থীর ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
২০১৯ এ জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৪৭ হাজার ২৮৬ জন যা মোট পরীক্ষার্থীর ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
অন্যদিকে ২০১৮ ও ২০১৯ এ পাসের হার ছিল যথাক্রমে ৬৬.৬৪ ও ৭৩.৯৩ শতাংশ।
ঢাকা বোর্ডে ৫৭ হাজার ৯২৬, রাজশাহীতে ২৬ হাজার ৫৬৮, কুমিল্লায় নয় হাজার ৩৬৪, যশোরে ১২ হাজার ৮৯২, চট্টগ্রামে ১২ হাজার ১৪৩, বরিশালে পাঁচ হাজার ৫৬৮, সিলেটে ৪ হাজার ২৪২, দিনাজপুরে ১৪ হাজার ৮৭১ এবং ময়মনসিংহ বোর্ডের ১০ হাজার ৪০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
শনিবার একযোগে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের মধ্য দিয়ে প্রায় ১৩ লাখ শিক্ষার্থীর অপেক্ষার অবসান ঘটল।
ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সকাল সাড়ে দশটার দিকে এই ফল প্রকাশ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এই পরীক্ষার ফল ঘোষণার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে এইচএসসির ফলাফলের সারসংক্ষেপ গ্রহণ করেন।
গত বছর ১লা এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে স্থগিত হয়ে যায় এইচএসসি পরীক্ষা।
পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হয় এসএসসি ও জেএসসির পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে।
গত সপ্তাহে জাতীয় সংসদের অনুমোদন নিয়ে বিশেষ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়াই ফল প্রকাশের বিধান আইনে যুক্ত করা হয়।
সংসদে পাস হওয়া তিনটি বিলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সই করার পর 'ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০২১', 'বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২১', 'বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২১' গেজেট আকারে জারি করে সরকার।
এরপর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রস্তুত, ঘোষণা ও সনদ বিতরণের জন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোকে ক্ষমতা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে আগেই জানানো হয়েছিল, 'এবার ফলাফল অনলাইনে প্রকাশিত হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফলাফল পাওয়া যাবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রে অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো ফল পাঠানোও হবে না। কাজেই কোনো অবস্থাতেই ফলাফল প্রকাশের দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমায়েত হওয়া যাবে না।'
এছাড়া, মুঠোফোনের খুদেবার্তার মাধ্যমে ফলাফল পেতে চাইলে HSC< >Board name (First 3 letter) <> Roll<>2020 টাইপ করে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। টেলিটক ওয়েবসাইট www.educationboardresults.gov.bd থেকে ফলাফল দেখা যাবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও ফলাফল জানা যাবে।