বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহবান অ্যামনেস্টির
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সরকারকে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সোমবার এক বিবৃতিতে মানবাধিকার সংস্থাটি জানায়, এই ধরনের হামলা বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান সংখ্যালঘু বিরোধী মনোভাবের দিকে ইঙ্গিত বহন করছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাউথ এশিয়া ক্যাম্পেইনার সাদ হাম্মাদি বলেন, "আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ওপর এই ধরনের আক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।"
তিনি বলেন, "একের পর এক হামলা, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা এবং সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে আক্রমণ থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, রাষ্ট্রটি তার সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে"।
অবিলম্বে ঘটনাগুলোর তদন্ত করে যারা এসব সহিংসতা এবং ভাঙচুরের জন্য দায়ী, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন সাদ হাম্মাদি।
উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগ উঠে, যার জেরে দেশজুড়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মণ্ডপ, মন্দির, বাড়িঘর এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
সহিংসতার ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে চাঁদপুরের চারজন রয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে গত রোববার আবারও একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের কমপক্ষে ২৯টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
সোমবার বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পোও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
দিনাজপুর, গাজীপুর, কুমিল্লা এবং রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে মিয়া সেপ্পো এক টুইট পোস্টে তার এই আহবান জানান।