হঠাৎ শিলা বৃষ্টি, ২০ গ্রামে ফসল ও বসতঘরের ক্ষতি
সোমবার শেষ রাতে হঠাৎ শিলা বৃষ্টিতে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীপুর সদর, দারিয়াপুর, আমলসার ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রামে পেঁয়াজ, রসুন, গমসহ বিভিন্ন উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিন শতাধিক বাড়ি ঘরের টিন শিলার আঘাতে ছিদ্র হয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে গেছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এসব গ্রামে ১৩০২ হেক্টর জমির ৪ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সহস্রাধিক কৃষক।
এসব ইউনিয়নের রাজাপুর, চিলগাড়ি, তখলপুর, কালিনগর, হোগলডাঙ্গা,দূর্গাপুর, ঘড়িবাড়ি, চরবালিয়াঘাটা বালিয়াঘাটাসহ বিস্তৃত এলাকায় মাঠের পেঁয়াজ, রসুন, গম, কলাগাছ, বাঙ্গিসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত ব্যাপকভাবে বিনষ্ট হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় পড়ে আছে বড় বড় শিল। নষ্ট হয়েছে অন্তত ২০টি পানের বরজ। শিলার আঘাতে মারা গেছে বিভিন্ন গাছে থাকা অর্ধশতাধিক পাখি।
তখলপুর গ্রামের জয়নাল আবেদিন জানান, তার ৫৫ শতক জমির পেঁয়াজের সবটুকুই শিলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে অন্যান্য ফসলেরও। একই গ্রামে আরও অন্তত ১০ কৃষক একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
একই ধরনের ক্ষতির উল্লেখ করেছেন এ গ্রামের কৃষক নিরোদ রায়, মনিন্দ্রোনাথ বাড়ৈ, পরিতোষ মন্ডল, বিকাশ চন্দ্র রায়, আশুতোষ রায়, আকতার হোসেনসহ অন্যরা। এদের প্রত্যেকের ক্ষতির পরিমাণ দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। তারা জানান, ভোর রাতে দিকে প্রচন্ড শব্দে এ শিলা বৃষ্টি আঘাত হানে। এ সময় তাদের অনেকেরই ঘরের টিন ছিদ্র হয়ে বড় বড় শিল ঘরে ঢুকে পড়ে।
মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক জাহিদুল আমিন বলেন,'প্রাথমিকভাবে ১৩০২ হেক্টর জমির পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি নিরুপন করা গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পুর্নবাসনের জন্য এ সংক্রান্ত তালিকা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হচ্ছে।'
কৃষি ও ত্রাণ বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম বলেন, 'যাদের বসতঘর নষ্ট হয়েছে, তাদের যতদ্রুত সম্ভব ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।'