মুনিয়া হত্যা মামলা: আনভীরকে দায়মুক্তি দিয়ে পিবিআই’র তদন্ত প্রতিবেদন জমা
কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর।
গত সপ্তাহে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনভীরসহ আট আসামিকে দায়মুক্তি দিয়ে তদন্তের ফলাফল জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (ডিসি-প্রসিকিউশন ডিভিশন) মো. জসিম উদ্দিন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) পিবিআই পরিদর্শক গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া গেছে কিন্তু জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।"
"এটা বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ধর্ষণ না হওয়ায় আমি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।"
গত ৬ সেপ্টেম্বর মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে আটজনের বিরুদ্ধে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ মামলাটি করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আনভীরের বাবা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, তার মা আফরোজা বেগম, স্ত্রী সাবরিনা, শারমিন, সাইফা রহমান মিম, ফারিয়া মাহবুব পিয়াশা ও ইব্রাহিম আহমেদ রিপন।
মামলাটি পরে তদন্তের জন্য পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে আত্মহত্যা করে বলে জানা যায়।
২৭ এপ্রিল নুসরাত সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে 'আত্মহত্যায় প্ররোচনার' মামলা দায়ের করেন। মুনিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল আনভীরের।
ওই মামলার তিন মাসব্যাপী তদন্তে আনভীরকে আটক বা জিজ্ঞাসাবাদ করেনি পুলিশ।
এরপর, ১৯ জুলাই মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় একমাত্র আসামি আনভীরের নাম বাদ দিয়ে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।
১৮ আগস্ট ওই মামলার চার্জশিটও গ্রহণ করেন আদালত।
ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী সেসময় পুলিশের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে মুনিয়ার পরিবারের করা অনাস্থা আবেদনও খারিজ করে দেন।