দেশে কোভিড শনাক্তের তিন বছর: করোনা এখনও আছে, তবে আতঙ্ক নেই
৮ মার্চ, ২০২০। বিকেল তিনটায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, দেশে তিনজন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরপর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় মৃত্যুর পর মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ২২ মার্চ দেশব্যাপী প্রথম লকডাউন শুরু হয়। করোনা আক্রান্ত মা-কে জঙ্গলের মধ্যে ফেলে আসা, ডাক্তার-নার্সদের বাড়িতে ঢুকতে না দেয়া, মৃতদেহ সৎকারে বাধা দেয়া সহ কত ঘটনা ঘটে! শুরুর দিকে চিকিৎসা ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত ছিলো না।
দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের তিন বছর পেরিয়ে গেছে। করোনাভাইরাসে মৃত্যুর খবর ইদানিং খুব একটা শোনা যায় না। হাসপাতালগুলোতেও কোভিড রোগীর ভিড় নাই। প্রতিদিনই কোভিড রোগী শনাক্ত হলেও মানুষ প্রায় ভুলতে বসেছে করোনাভাইরাসের কথা। এখন আর সেই আতঙ্কও নেই।
২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯,৪৪৯ জন মারা গেছে; কোভিড পজিটিভ এসেছে ২,০৩৭,৮৮৭ জনের।
বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত দেশে কোভিড শনাক্ত হয় ৮ জনের, কোভিড পজিটিভিটি রেট ০.৭১%।
দেশে কোভিড-১৯ চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে, টেস্টের পরিধি বেড়েছে- একটি কোভিড টেস্ট ল্যাব থেকে এখন ৮৮৫টি ল্যাবে কোভিড টেস্ট করা হয়। টিকাদানে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ভালো করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, এখন পর্যন্ত দেশে কোভিড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৫০,৬০৮,৮৩১ জন, দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১৩৭,১৩৯,৩৩৯ জন, তৃতীয় ডোজ পেয়েছেন ৬৭,৩৯৫,২৪১ জন এবং চতুর্থ ডোজ পেয়েছেন ৩,১৪৮,৯৮৮ জন।
আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. এম মুশতাক হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও কোভিডকে পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি হিসেবে জারি রেখেছে। তাই এখনো কোভিডের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে যারা বয়স্ক, কোমর্বিড রোগী আছে তাদের সতর্কতার বিকল্প নেই। কোভিড এখন অনেকখানি নিয়ন্ত্রণে কিন্তু এখনো একেবারে কার্যকর ভ্যাকসিন আসেনি, কার্যকর ওষুধ নেই। কোভিডের সব ধরণের বিরুদ্ধে কার্যকর ভ্যাকসিন যখন আসবে তখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে বলা যাবে।"