শিশু আয়াত হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্তের বাসায় আয়াতের ডিএনএ পেল পুলিশ
চট্টগ্রামের শিশু আলিনা ইসলাম আয়াত (৫) এর চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আবীরের বাসায় পাওয়া রক্তের নমুনার সাথে আয়াতের ডিএনএর মিল পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মেট্রোর পরিদর্শক মনোজ দে।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে তিনি বলেন, 'হত্যাকাণ্ডের পর আসামি আবীরের বাসার মালামাল রাখার শেডে জমে থাকা রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছিলো পিবিআই। সিআইডি ফরেনসিক ল্যাবে সেই রক্তের সঙ্গে আয়াতের ডিএনএ প্রোফাইল করা হয়। সম্প্রতি ডিএনএ টেস্টের এই রিপোর্টে জমে থাকা রক্তের নমুনার সাথে আয়াতের ডিএনএ প্রোফাইলের মিল পাওয়া গেছে। এর আগেই ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আমাদের হাতে এসেছে। সব মিলিয়ে ফাইনাল রিপোর্ট দিতে সময় লাগবে না'।
'তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজে আবীরকে ২টি ব্যাগ নিয়ে যেতে দেখা যায়। আবীর তার মায়ের বাসায় আয়াতের লাশ নিয়ে ছয় টুকরো করে। পরে প্যাকেট করে বাসার শেডে তুলে রেখেছিল, তদন্তের শুরুতেই পিবিআই শেডে জমে থাকা রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছিল। সেই নমুনার সঙ্গে এবার আয়াতের ডিএনএর মিল পাওয়ায় খুনির বিষয়ে আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত হলাম'- আরো বলেন তিনি।
২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর শিশু আয়াত নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর তাকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে আবীর আলী (২০)-কে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
নিহত শিশু আয়াত ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর বন্দরটিলা নয়ারহাট এলাকার সোহেল রানার মেয়ে। সে স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিল। গত বছরের ১৫ নভেম্বর বিকেলে মাদ্রাসায় যেতে বাসা থেকে বের হয় আয়াত। তারপর বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রামের পিবিআই পরিদর্শক ইলিয়াস খান জানান, নিহতের বাড়িতে আগে ভাড়া থাকতো আবীর আলী। গত ১৫ নভেম্বর সে আয়াতকে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহরণ করে আকমল আলী রোডের একটি বাসায় নিয়ে যায়। আবীর একপর্যায়ে শ্বাসরোধ করে আয়াতকে হত্যা করে। মরদেহ গুম করতে ছয় টুকরো করা হয় এবং ২টি প্যাকেটে মুড়িয়ে কাট্টলী এলাকায় সৈকতে ফেলে দেয়'।
পুলিশ জানায়, আয়াত নিখোঁজ হওয়ার পর স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা সোহেল রানা।
২৮ নভেম্বর দুই দিনের রিমান্ড শেষে আবীরকে আরো ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ২৯ নভেম্বর তার বাবা ভ্যানচালক আজহারুল ইসলাম এবং তার মা আলেয়া বেগমকে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।