মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে একধাপ পেছালো বাংলাদেশ: ১০০-তে স্কোর ৩৫.৩১
গতবারের চেয়ে আরও একধাপ পিছিয়ে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের এবারের অবস্থান ১৬৩তম।
বুধবার (৩ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে এ বছরের সূচক প্রকাশ করেছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ)।
২০২৩ সালের সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ৩৫.৩১, গত বছরও ৩৬.৬৩ স্কোর নিয়ে যা ছিল খানিকটা এগোনো।
২০২১ সালের মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ৫০.২৯ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫২৷ তার আগের বছর, ২০২০ সালে ছিল ১৫১। ২০১৬ সাল থেকে এই বার্ষিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আর এগোয়নি।
দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এবারও সবার নিচে। সূচকে এবার গতবারের চেয়ে পিছিয়ে ভারত রয়েছে ১৬১-তে, পাকিস্তানের অবস্থান ১৫০তম। এছাড়াও শ্রীলঙ্কা ১৩৫, আফগানিস্তান ১৫২, নেপাল ৯৫ এবং ভুটান ৯০তম অবস্থানে রয়েছে।
টানা সপ্তমবারের মতো ৯৫.১৮ পয়েন্ট নিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় সবচেয়ে এগিয়ে নরওয়ে৷ এরপরেই শীর্ষ দশ স্থান দখল করে রেখেছে আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, লিথুয়ানিয়া, এস্তোনিয়া, পর্তুগাল এবং পূর্ব তিমুর।
৭১.২২ স্কোর নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তালিকার ৪৫-এ অবস্থান করছে।
রাশিয়া গত বছরের অবস্থান (১৫৫) থেকে বেশ অনেকখানি নেমে এবার ১৬৪তম স্থানে রয়েছে; চীনও চার ধাপ নেমে ১৭৯তম অবস্থানে ঠেকেছে।
২১.৭২ স্কোর নিয়ে তালিকার তলানিতে (১৮০) উত্তর কোরিয়া।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণমাধ্যম কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে তার ভিত্তিতে আরএসএফ গত ২০০২ সাল থেকে এই সূচক প্রকাশ করে আসছে। ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশকেও সূচকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এবছর মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের ৩০তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে। বরাবরের মতোই এবার ১৮০টি দেশ ও অঞ্চলে সাংবাদিকতার পরিবেশের মূল্যায়ন করে তালিকাটি সম্পন্ন করা হয়েছে।
আরএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩১টি দেশে গণমাধ্যম পরিস্থিতি 'খুবই গুরুতর', ৪২টি দেশে 'কঠিন', ৫৫টি দেশে 'সমস্যাগ্রস্ত' এবং ৫২টি দেশে 'ভালো' বা 'সন্তোষজনক'।
প্রতিবেদনটির সারসংক্ষেপ হলো, দশের মধ্যে সাতটি দেশেই সাংবাদিকতার পরিবেশ 'খারাপ' এবং মাত্র তিনটিতে সন্তোষজনক।
আরএসএফ মহাসচিব ক্রিস্টোফ ডেলোয়ার বলেছেন, "এ বছর আরএসএফের মানচিত্রে আগের চেয়ে আরও বেশি রেডমার্ক দেখা যাচ্ছে, কারণ কর্তৃত্ববাদী শাসকেরা গণমাধ্যমের মুখ চেপে ধরতে ক্রমশ আরও বেশি সাহসী হয়ে উঠছেন। এই প্রবণতা ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।"