টিসিবির ট্রাকসেল থেকে কিছু মানুষকে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-র ট্রাকের মাধ্যমে ভুর্তকি মূল্যে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম থেকে কিছু মানুষকে খালি হাতে ফেরত যেতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, এসব ট্রাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য থাকে, প্রতিটি ট্রাক থেকে তিনশো জনের পণ্য কেনার সুযোগ রয়েছে। এর বেশি দিতে পারবে না। স্বাভাবিকভাবেই যারা আগে আসেন, তারাি আগে পাবেন। এজন্য কিছু মানুষকে খালি হাতে ফেরত যেতে হচ্ছে।'
আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টিসিবি আয়োজিত টিসিবি'র ফ্যামিলি স্মার্ট কার্ড বিতরণ এবং সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'আমরা ট্রাকসেলের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। পাশাপাশি দেশের অন্যান্য বড় শহরগুলোতে দেওয়া যায় কি না– সেটাও বিবেচনা করা হচ্ছে, যাতে করে আরো বেশি মানুষকে এই সুবিধার আওতায় আনা সম্ভব হয়।'
বর্তমানে শুধু ঢাকাতেই টিসিবি ৩০টি পয়েন্টে ট্রাকসেলের মাধ্যমে প্রতিদিন পণ্য বিক্রি করছে। যেখানে তেল, চিনি, পেঁয়াজ, আলু ও মশুর ডাল বিক্রি করা হচ্ছে। আর সারাদেশে এক কোটি পরিবারকে প্রতি মাসে একবার করে ভর্তুকি মূল্যে চাল, তেল, চিনি, ডাল, পেয়াজের আলুর মত পণ্যগুলো বিক্রি করা হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মনুশি বলেন, টিসিবির কার্ডধারীরা প্রতি মাসে একবার পণ্য নিশ্চিতভাবেই পাবেন। কারণ তাদের নামে পণ্য নির্দিষ্ট করা থাকে।
এদিকে আসন্ন রমজান মাসে খেজুরসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ ঠিক রাখার মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
রমজান মাস উপলক্ষে খেজুরসহ অন্যান্য পণ্য আমদানিতে শুল্ক কমানো হবে কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শুল্ক কমাতে পারে না, তবে কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে অনুরোধ জানাতে পারে এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় তেমনটা করাও হয় থাকে। রমজানে মাসে মানুষ যাতে খেজুরসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সহজে কিনতে পারে সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, আলুর বাজার দ্রুত অস্থিতিশীল হওয়ার পরপরই আমরা আমদানির অনুমতি দিয়েছি। এরপর ভারত থেকে আলু আসায় বাজারে ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দেশে নতুন আলু আসতে শুরু করেছে। আগামী এখন মাসের মধ্যে বাজারে পুরোপুরি নতুন আলু আসবে। এতে করে আলুর দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।