‘আমার খালাস হইসে রে, আমি মুক্তি পাইসি এইবার’: খালাসের আনন্দে হাতকড়াসহ কোর্ট থেকে রাজুর দৌড়
নারায়ণগঞ্জে একটি চুরির মামলায় খালাসের রায় শুনে আনন্দে হাতকড়াসহ আদালত থেকে দৌড় দিয়েছেন এক ব্যক্তি। পরে তাকে কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।
বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে। দৌড় দেওয়া যুবকের নাম রাজু ওরফে রনি। তিনি বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে।
২০২০ সালে রাজুর মা তার বিরুদ্ধে চুরির মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন। পুলিশসূত্রে জানা গেছে, রাজু খানিকটা মানসিক ভারসম্যহীন।
আদালত থেকে বের হওয়ার পর রাস্তায় তার সন্ধান পেয়ে আটক করে পুলিশ। এরপর তাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, 'চেকপোস্টে তল্লাশিকালে এক ব্যক্তিকে হাতকড়া অবস্থায় আটক করা হয়। তিনি আমাদের জানান নারায়ণগঞ্জ কোর্ট থেকে একটি মামলায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তারপরই তিনি এখানে এসেছেন।'
পরে তাকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে রনিকে নিয়ে যায়।
আদালতে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক আইনজীবী বলেন, "বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক ব্যক্তি হাতকড়া নিয়ে কোর্টরুম থেকে বেরিয়ে 'আমার খালাস হইসে রে, আমি মুক্তি পাইসি এইবার' বলতে বলতে মূল সড়কে চলে যান।"
এ সময় তাকে কোনো পুলিশ সদস্য বাধা দেননি বলে জানান ওই আইনজীবী। 'কিছুক্ষণ পর পুলিশ যখন বুঝতে পারে আসামি পালিয়েছে, তখন তাদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়,' বলেন তিনি।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, 'পালিয়ে যাবার পর ফের রাজুকে আটক করা হয়েছে। তিনি খানিকটা মানসিক ভারসম্যহীন। ২০২০ সালে তার মা নারায়ণগঞ্জ আদালতে তার বিরুদ্ধে চুরির মামলা দায়ের করেন। সে মামলাতেই এতদিন কারাবন্দি ছিলেন।'
খালাসের পরও কেন রাজু পালানোর চিন্তা করলেন এমন প্রশ্নে আসাদুজ্জামান বলেন, 'মূলত খালাসের পরেও ব্যক্তিকে কারাগারে নেওয়া হয়। সেখান থেকে মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।'